২০১১ সালে শুরু হওয়া সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরাশক্তিরা। প্রাণ হারায় কয়েক লাখ মানুষ। দেখা দেয় ইতিহাসের ভয়াবহতম মানবিক সংকট। যার সমাধান হয়নি আজও।
একসময়ের খাদ্য উৎপাদনে সমৃদ্ধ দেশটি পরিণত হয়েছে রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে। বেঁচে থাকার লড়াইয়ে লক্ষাধিক সিরীয়বাসী নতুন করে হুমকিতে পড়েছে। মার্কিন বাহিনী প্রতিদিনই আটকে দিচ্ছে তাদের গমের চালান। বেশিরভাগ মানুষকে দিন পার করতে হচ্ছে অনাহারে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, ইউফ্রেটিস ও টাইগ্রিস নদীর মধ্যবর্তী সিরিয়ার উর্বর কৃষিভূমি দখল ও অবরুদ্ধ করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র ও কুর্দি বাহিনী। এতে গমের উৎপাদন কমেছে ৭০ শতাংশ। এছাড়া, সিরিয় সরকারের অধীনে থাকা জমির শস্য বিক্রিতেও বাধা দিচ্ছে বিদেশি শক্তি।
অথচ সংকট শুরুর আগে বার্ষিক ৫ থেকে ৬ মিলিয়ন টন উৎপাদিত গমের বড় একটা অংশ রপ্তানি করতো তারা। বর্তমানে গম উৎপাদন নেমে এসেছে মাত্র ৫ লাখ টনে। যেখানে বার্ষিক চাহিদা আড়াই মিলিয়ন টনের বেশি। দেশটি বাধ্য হচ্ছে গম আমদানিতে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সবশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিরিয়ার ১৩ মিলিয়ন মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মুখোমুখি। সেইসঙ্গে ভুগছে অপুষ্টিতে।
সিরিয়ায় মাংস বা শাকসবজির উৎপাদন খুবই কম। তাই রুটির ওপর ভরসা করতে হয় তাদের। সরকারের রেশনিং পদ্ধতিতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন দুটি করে রুটি পায়। যা দিয়ে তাদের চাহিদা পূরণ অসম্ভব।
অভিযোগ রয়েছে মৌসুমের সময় ট্রাক বোঝাই করে ফসলগুলো তাদের সামরিক ঘাঁটিতে নিয়ে যায় মার্কিন বাহিনী। যা সিরিয়ার বাসিন্দাদের ঠেলে দিচ্ছে আরও অনিশ্চতায়।