মঙ্গলবার ছয় বছরের মধ্যে উষ্ণতম রাত পার করে ভারতের রাজধানী দিল্লির বাসিন্দারা। রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। রেকর্ড ছুঁয়েছিল বিদ্যুতের চাহিদাও, সর্বকালের সর্বোচ্চ।
চলতি বছর স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি দাবদাহের কবলে পড়েছে ভারতের উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চল। মার্চ থেকে বেশ কয়েকবার তাপমাত্রার পারদ ৫০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে দিল্লি আর মরুর রাজ্য রাজস্থানে।
বিরামহীন তাপপ্রবাহের জেরে ভারতের উত্তরাঞ্চলে লাফিয়ে বাড়ছে হিটস্ট্রোকের রোগীর সংখ্যা। চলতি গ্রীষ্মে শুধু রাজধানী দিল্লির প্রধান তিনটি হাসপাতালেই প্রাণ গেছে কমপক্ষে ২০ জনের। সরকারি রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে গত ২৪ দিনে গরমজনিত অসুস্থতা নিয়ে ভর্তি হয়েছে ৪৭ জন।
দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক অজয় শুকলা বলেন, 'গত দু'দিনেই গরমজনিত কারণে অসুস্থ ২২ জন রোগী পেয়েছি আমরা। এদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, কারণ হিটস্ট্রোক বলে ধারণা করা হচ্ছে। আরও ১২-১৩ জন রোগী ভেন্টিলেশনে আছেন আশঙ্কাজনক অবস্থায়।'
পরিস্থিতির ভয়াবহতায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হাসপাতালগুলোকে রোগী ভর্তির নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাবে চলতি গ্রীষ্মে পুরো এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ওপর দিয়ে বইছে তাপপ্রবাহ। অসহনীয় গরমে বিপর্যস্ত কয়েকশ' কোটি মানুষ।