আজ (সোমবার, ২০ মে) এই দায়িত্ব দেন ইরানের সর্বোচ্চ এই ধর্মীয় নেতা। দেশটির সংবিধানে বলা আছে যে, ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট মারা গেলে বা কোনো কারণে দায়িত্ব পালনে সক্ষম না হলে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট।
পরবর্তী ৫০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে এবং নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে হবে। সংসদের স্পিকার, বিচার বিভাগের প্রধান ও ডেপুটি প্রেসিডেন্ট- এই তিনজনের সমন্বয়ে গঠিত একটি কাউন্সিল এই নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।
দেশটির সংবিধানের ১৩২ অনুচ্ছেদে আছে, অন্তবর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট মন্ত্রীদের বরখাস্ত করতে পারবেন না। তাছাড়া সংবিধান সংশোধন এবং গণভোটের আয়োজনের ক্ষমতাও তার হাতে থাকবে না।
ইরানের প্রেসিডেন্টের মূল দায়িত্ব মন্ত্রীদের কাজ তদারকি করা এবং সরকারি সিদ্ধান্তগুলো সমন্বয়ের ব্যবস্থা করা। সরকারের আইন, নীতি নির্ধারণ ও এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেন মন্ত্রী পরিষদের প্রধান প্রেসিডেন্ট।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির বহনকারী বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার। ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সামলাবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। তবে যিনিই নতুন প্রেসিডেন্ট হন না কেন, তাকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার অনুমোদন নিতে হবে।
ইরানে রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে ভূমিকা পালন করেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনি। ক্ষমতাকাঠামোয় এর পরই রয়েছেন প্রেসিডেন্ট। তাকে সরকারের প্রধান হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
গতকাল রোববার পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। এতে নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদোল্লাহিয়ান ও আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতি।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন, স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা ও সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আজ সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
মৃত্যুর খবর উল্লেখ করে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ইরানের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে সেখানে থাকা সবাই নিহত হয়েছেন।