ইউক্রেনে আগ্রাসন বাড়িয়ে দুই দিনের চীন সফরে এসেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। লক্ষ্য ছিল বেইজিংয়ের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করা। আজ (শুক্রবার, ১৭ মে) সফরের শেষ দিনে হারবিন শহরে এক বক্তব্যে পুতিন বলেন, 'জ্বালানি খাতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদারে আগ্রহী রাশিয়া। চীনকে দেয়া হবে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত এই দুই দেশই।'
আলোচনা হয় বিশ্বের অস্থিতিশীল শতাব্দীতে চীন কিভাবে নিজের কৌশলগত অবস্থান ধরে রেখেছে তা নিয়ে। বিশ্বে সুশাসন প্রতিষ্ঠা আর আন্তর্জাতিক ন্যায় প্রতিষ্ঠায় চীন কাজ করবে বলেও জানান শি জিনপিং। পুতিন জানান, বিশ্বের দক্ষিণাঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়তে আর বিকেন্দ্রীকরণে আগ্রহী মস্কো। গভীর আলোচনা হয় ইউক্রেনে চলমান সেনা অভিযান নিয়ে। শি বলেন ইউক্রেন ইস্যুতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত চীন।
শি জিনপিং বলেন, 'শক্তিশালী দেশগুলোর মধ্যে কি ধরনের সুসম্পর্ক হতে পারে, তার দৃষ্টান্ত রাশিয়া-চীন বন্ধুত্ব।'
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, 'এই বন্ধুত্ব কোনো দেশের জন্য ক্ষতিকর নয়। এই সমঝোতা বিশ্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে।'
যদিও মার্কিন বিশ্লেষকরা বলছেন, জো বাইডেনের কেবিনেটে নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে বড় ধরনের ভুল চীন রাশিয়ার বন্ধুত্ব শক্তিশালী হওয়ার বিষয়টি। মার্কিন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক হেরিটেজ ফাউন্ডেশন বলছে, পরাশক্তিধর দুই দেশের কাছাকাছি আসার বিষয়টি বিপর্যয়ের সামিল।