বিদেশে এখন
0

জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হিসেবে ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রস্তাব পাস

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যের মর্যাদা দানের প্রস্তাব পাস হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও আর্জেন্টিনাসহ ৯টি দেশ প্রস্তাবটির বিরুদ্ধে ভোট দেয়। নিরাপত্তা পরিষদে ভোটদানের পরই মিলবে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি।

স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে গেছে ফিলিস্তিন। গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যের মর্যাদা দেয়ার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। যেখানে প্রস্তাবটির পক্ষে বাংলাদেশ, ভারত, রাশিয়া ও চীনসহ ১৪৩টি দেশ ভোট দেয়। যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও আর্জেন্টিনার পাশাপাশি প্রস্তাবটির বিপক্ষে চেক প্রজাতন্ত্র, হাঙ্গেরি, মাইক্রোনেশিয়া, নাউরু, পালাউ ও পাপুয়া নিউগিনি ভোট দিয়েছে। অন্যদিকে প্রস্তাবটিতে ভোটদান থেকে বিরত ছিলো ২৫টি দেশ, যার অধিকাংশ ইউরোপের।

সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি পাস হলেও এখনই পূর্ণ সদস্যের মর্যাদা পাচ্ছে না ফিলিস্তিন। এমনকি সাধারণ পরিষদে ভোটদানের অধিকারও পাচ্ছে না। যদিও প্রস্তাব উত্থাপন ও সংশোধন করতে পারবে দেশটি। পাশাপাশি নিউইয়র্কের অ্যাসেম্বলি হলে ফিলিস্তিনের জন্য আসন বরাদ্দ থাকবে। পূর্ণ সদস্যের মর্যাদা পেতে বৈশ্বিক স্বীকৃতি হিসেবে কাজ করবে পাস হওয়া প্রস্তাবটি।

জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর বলেন, ‘একটি ‘হ্যাঁ’ ভোট হলো ফিলিস্তিনের অস্তিত্বের পক্ষে ভোট। এটি কোনো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নয় বরং আমাদের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র থেকে বঞ্চিত করার বিপক্ষের ভোট এটি।’

পরবর্তী প্রক্রিয়া হিসেবে প্রস্তাবটি পাঠানো হবে নিরাপত্তা পরিষদে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো প্রয়োগের মাধ্যমে আবারও আটকে যেতে পারে ফিলিস্তিনের স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তারা স্বাধীন ফিলিস্তিনের বিপক্ষে না থাকলেও ইসরাইলের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে এই প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হওয়া উচিত। অন্যদিকে জাতিসংঘ সনদের অনুলিপি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলে ইসরাইল জানায়, ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ মর্যাদা দেয়ার চেষ্টা সনদ লঙ্ঘনের শামিল।

আপনারা নিজের হাতে জাতিসংঘের সনদ ছিন্নভিন্ন করছেন। আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিত।

জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট এ উড বলেন, ‘আমাদের ’না’ ভোট স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিপক্ষে নয়। আমরা বিষয়টি সমর্থন করি এবং যৌক্তিকভাবে এগোতে চাই। দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়া জরুরি।

গেল এপ্রিলে নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির একটি প্রস্তাব উঠলেও ভেটো দেয়ার মাধ্যমে সেটি বাতিল করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ২০১২ সাল থেকে জাতিসংঘে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা পাচ্ছে ফিলিস্তিন।