করোনার মহামারি থেকেই নানা সংকটে ধুকছে ভারতের শ্রমবাজার। বিগত কয়েক বছরে দেশটিতে বেকারত্বের হার উদীয়মান অর্থনীতির অন্য দেশগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে। উচ্চশিক্ষিত অনেক তরুণ নামমাত্র মজুরিতে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। বেকারত্ব নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ ও হতাশা।
দেশটিতে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সীরা কাজ খুঁজতে হিমশিম খাচ্ছে সবচেয়ে বেশি। তরুণ ভোটারদের চাওয়া দেশের বেকারত্ব সমস্যা দূর করবে নতুন সরকার।
তরুণ ভোটারদের একজন বলেন, ‘অনেক শিক্ষিত যুবক ভালো চাকরি পাচ্ছে না। আমরা চাই, নতুন সরকার তরুণ সমাজ নিয়ে কাজ করবে এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে।’
আরেকজন বলেন, ‘জনবহুল এই দেশে যুবসমাজের বড় একটি অংশ বেকার। আমাদের মতো তরুণদের জন্য কাজের সুযোগ বাড়ানো প্রয়োজন।’
জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন ব্যুরো বলছে, ২০২৫ সালে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। তবে ক্রমবর্ধমান শিক্ষিত যুব সমাজের জন্য দেশটিতে মানসম্পন্ন চাকরির অভাব দেখা দিতে পারে। যা চলমান নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে কর্মসংস্থান তৈরিতে অগ্রাধিকার দিচ্ছে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। তৃতীয় মেয়াদে জয়ী হলে নারী, তরুণ, কৃষক ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর উন্নয়ন করেছে বিজেপি সরকার। উন্নত পরিষেবা ও স্টার্টআপ ব্যবসাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে আমাদের সরকার জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।’
অন্যদিকে, গ্রামীণ অঞ্চলে বছরে অন্তত ১৫০ দিন কাজের সুযোগ হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ক্ষমতায় এলে তরুণ সমাজের জন্য কাজের সুযোগ এবং নারীর ক্ষমতায়নের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, ‘ভারতে ৩০ লাখ সরকারি চাকরি পদ শূন্য আছে। বিজেপি সরকার এসব পদ ঝুলিয়ে রেখেছে। ক্ষমতায় আসার পর আমাদের প্রথম কাজ হবে সরকারি চাকরির ৯০ শতাংশ তরুণ ও যুব সমাজের জন্য ব্যবস্থা করা।’
লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় পর্বে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ৪টি আসনে ত্রিমুখী লড়াই হচ্ছে। একদিকে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি, অন্যদিকে কংগ্রেস-বাম দলের জোট। সব দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে প্রার্থী ৫৭ জন।