যুদ্ধ
বিদেশে এখন
0

তুর্কিয়ের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞায় বিকল্প বাজার খুঁজছে ইসরাইল

ফিলিস্তিনের গাজায় হামলার জেরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে তুর্কিয়ে সম্প্রতি স্থগিতাদেশ দেয়ায় বিকল্প বাজার খুঁজছে ইসরাইল। তবুও এর কারণে দেশটির অর্থনীতিতে ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ ভৌগোলিক নৈকট্য ও প্রতিযোগিতামূলক উৎপাদন খরচ সত্ত্বেও মানসম্পন্ন পণ্য দিয়ে আস্থা অর্জন করায় ইসরাইলের শীর্ষ রপ্তানিকারক হয়ে উঠেছিলো তুর্কিয়ে।

ডিম, শাক-সবজি ও কাপড়ের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়াও আঙ্কারা থেকে ইলেকট্রনিক্স, লোহা, প্লাস্টিক ও ইস্পাতসহ বিভিন্ন খাতের পণ্যের আমদানিকারক তেলআবিব। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১১ সালে তুর্কিয়ে থেকে ইসরাইলে পণ্য রপ্তানি হয়েছিলো ২৩৯ কোটি ডলারের। করোনার সময় চীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে থাকায় ২০২২ সালে তুর্কিয়ে থেকে ইসরাইলের আমদানির পরিমাণ বেড়ে ৭০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়। আমদানি পণ্যের শীর্ষে ওঠে আসে লোহা ও ইস্পাত। এর পরেই যথাক্রমে জায়গা করে নেয় যানবাহন, প্লাস্টিক ও ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম।

তুর্কিয়ে পরিসংখ্যান সংস্থার তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে এসে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দাঁড়ায় ৬৮০ কোটি ডলারে, যার ৭৫ শতাংশই ছিল তুর্কিয়ে থেকে রপ্তানি হওয়া। এ অবস্থায় হুট করে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বন্ধে ইসরাইলের লোহা, ইস্পাত, পরিবহন ও ইলেক্ট্রনিক খাতের ওপর সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ খোদ ইসরাইলের আমদানিকারকরাই দাবি করছেন, চীনে প্রচুর উৎপাদন হলেও সে তুলনায় তুর্কিয়ের পণ্য উন্নতমানের ও দীর্ঘস্থায়ী।

এদিকে তুর্কিয়ের রপ্তানিকারকদেরও বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ আছে। দেশটির একটি চকোলেট ও মিষ্টান্ন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বলছে, ‘ইসরাইলের অনেক প্রতিষ্ঠানের অর্থ পাওনা রয়েছে। এখন বাণিজ্য বন্ধ থাকায় সেই অর্থ কীভাবে আদায় করবেন তা নিয়ে তারা চিন্তিত।’

দুই দেশের মধ্যে ১৯৯৭ সাল থেকে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি চালু রয়েছে। এর মধ্যেই গাজা ইস্যুকে ঘিরে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয়টিকে তুর্কিয়ের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। মনে করা হচ্ছে, অসহায় ফিলিস্তিনিদের পক্ষে নিজের শক্ত অবস্থান দেখিয়ে ভোটারদের খুশি করতে চাইছেন এরদোয়ান।