গত একসপ্তাহ ধরে টানা বৃষ্টিতে ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা দিয়েছে বন্যা ও ভূমিধ্বস। সুমাত্রা দ্বীপে এখনো নিখোঁজ আছেন বেশ কয়েকজন। প্রাদেশিক রাজধানী পাদাংসহ আরও আটটি এলাকা সবচে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে ৭০০ বাড়ি, সেতু ও বিদ্যালয় ও ২৮০ একর কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ৭০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে সরিয়ে নিতে হয়েছে। বেশিরভাগ এলাকাই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বন উজাড়ের কারণে দেশটিতে ভূমিধ্বসের প্রবণতা অনেক বেড়েছে। কয়েকদিন বৃষ্টি হলেই দ্বীপপুঞ্জটিতে নিয়মিত বন্যাও দেখা দিচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ সংস্থা জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা আছে। অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় অনেকের আশ্রয় হয়েছে স্থানীয় মসজিদগুলোতে। খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের সংকটে ভুগছেন সবাই।
লাতিন আমেরিকার দেশ বলিভিয়ায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বিস্তীর্ণ এলাকা। ভারী বৃষ্টিতে হুয়াইলানি নদী উপচে শহরে ঢুকে পড়েছে পানি। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পানিতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু সড়ক। চলমান দুর্যোগের কারণে চরম বিপর্যয়ে বাসিন্দারা। প্রাণহানি এড়াতে ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই হয়েছে বহু মানুষের।
দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় ব্যাপক তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। বিপাকে পড়েছেন কৃষি নির্ভর গ্রামগুলোর বাসিন্দারা। প্রবল স্রোতের ভেসে গেছে বাড়িঘর ও অবকাঠামো। এই বিপর্যয়ের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন স্থানীয়রা।
জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের প্রভাবিত করেছে। বন উজাড় করার ফলে এখন প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে এবং ভূমিধ্বসের ঘটনা ঘটছে।
পানির প্রবল স্রোতের সঙ্গে কাদা আছে। পাহাড় থেকে এগুলো নেমে আমাদের বাড়িতে ঢুকছে। বাড়ির অর্ধেক ধ্বংস হয়ে গেছে।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে। আবুধাবি, দুবাই, শারজাহ, আজমানসহ বেশ কয়েকটি শহরে বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে সড়ক ও ঘরবাড়ি। বজ্যসহ ভারী বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা। ওঠা-নামা করতে পারছে না অনেক ফ্লাইট। পুরো দেশজুড়ে সতর্কতা জারি করেছে পুলিশ। বাড়ির বাইরে বের না হতে বলছে তারা। এছাড়া, সমুদ্র সৈকত ও নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।