সিঙ্গাপুরের এবারের বিমানের প্রদর্শনীতে প্রতিরক্ষা পণ্যের খোঁজে এসেছে অনেক দেশ। কিন্তু রাশিয়ার অনুপস্থিতিতে এখনও পর্যন্ত বড় কোন চুক্তি হয়নি এয়ারশো’তে।
শুক্রবার বাণিজ্যিক প্রদর্শনী শেষে নিজেদের সামরিক সরঞ্জাম, এরোস্পেস সার্ভিস আর যন্ত্রাংশ গুটিয়ে নিয়েছেন অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো। অন্যান্য বছরের মতো এবারও বিমানের প্রদর্শনীতে নেই রাশিয়ার কোন কোম্পানি। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আর ইউক্রেনে সেনা অভিযানের কারণে এশিয়ার প্রতিযোগী বিভিন্ন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে রাশিয়াকে পেছনে ফেলে। ক্রেতারাও ঝুঁকছেন অন্য প্রতিষ্ঠানের দিকে।
নভেম্বরে দুবাই এয়ার শো’তে অনুপস্থিত থাকার পর এবার সিঙ্গাপুর এয়ার শো’তে উপস্থিত হয়েছে ইসরাইল। তেল আবিবের সব সামরিক প্রতিষ্ঠান গাজায় ইসরাইলের সেনা অভিযানের বিষয়ে কোন কথা বলতে সম্মতি জানায়নি। এরপরও দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র, স্পাই গিয়ার আর এরিয়েল ড্রোন নিয়ে আগ্রহ অনেক ক্রেতাদের।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এশিয়ার গ্রাহকরা এবার প্রতিরক্ষা পণ্য কিনতে বেশ আগ্রহী। মূলত লোহিত সাগরে হুতিদের ব্যবহার করা অ্যান্টি শিপ ব্যালিস্টিক মিসাইল নিয়ে আগ্রহ দেখা গেছে ক্রেতাদের মাঝে। চাহিদা আছে যুক্তরাষ্ট্রের লকহেড মার্টিনসহ বিভিন্ন অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের তৈরি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা যুদ্ধবিমান, ক্রুজ আর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে পারে। এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন আরও বাড়ানোর কথা জানিয়েছে লকহেড মার্টিন।
প্রদর্শনীতে আনা হয়েছে চীনের তৈরি হেলিকপ্টার জেড টেন। চীনের প্রত্যাশা, এই হেলিকপ্টার রফতানি করা হবে এশিয়ার অন্যান্য দেশে। বিমানের প্রদর্শনীতে কয়েকটি বাণিজ্যিক চুক্তির ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তবে এখনও আসেনি উল্লেখযোগ্য কোন চুক্তির ঘোষণা।
প্রদর্শনীতে প্রতিরক্ষা পণ্য আমদানি রফতানি চুক্তির ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বের শীর্ষ কয়েকটি প্রতিরক্ষা পণ্য রফতানিকারকদের একটি হতে যাচ্ছে। নিজেদের প্রতিরক্ষা পণ্য প্রদর্শনীতে নিয়ে এসেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
অন্যদিকে জাপান নিজেদের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রতিরক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে চেষ্টা করছে। চাঙ্গি এক্সিবিশন সেন্টারে চলা এই প্রদর্শনী শেষ হবে ২৫ ফেব্রুয়ারি।