বিদেশে এখন
0

যাত্রীবাহী বিমানের বাজার দখলে নিতে চায় চীন

বিশ্বের শীর্ষ বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যেই এশিয়ায় চলছে সবচেয়ে বড় বিমানের প্রদর্শনী সিঙ্গাপুর এয়ার শো। এবারের প্রদর্শনীতে কোন বাণিজ্যিক বিমান নিয়ে আসেনি বোয়িং।

দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বে যাত্রীবাহী বিমানের বাজার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বোয়িং আর এয়ারবাস। পশ্চিমা এই বাজার দখলে উঠে পড়ে লেগেছে চীন। প্রথমবারের মতো নিজেদের তৈরি যাত্রীবাহী বিমান 'সি নাইন ওয়ান নাইন' নিয়ে চীন অংশ নিয়েছে সিঙ্গাপুরের বিমানের প্রদর্শনীতে। যদিও এয়ারবাসের দাবি, চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান কোমাকের তৈরি এই বিমান বোয়িং বা এয়ারবাসের যাত্রীবাহী বিমান থেকে খুব একটা আলাদা নয়।

২০২০ সালে করোনার পর থেকে বন্ধ ছিলো আর্ন্তজাতিক এই বিমানের প্রদর্শনী। ইমেজ সংকট আর নানা বিধিনিষেধের কারণে মঙ্গলবার শুরু হওয়া এই এয়ার শো'তে কোন বাণিজ্যিক বিমান নিয়ে আসেনি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং। জানুয়ারিতে এই প্রতিষ্ঠানের বিমানের ক্রয়াদেশ আর সরবরাহ অনেক কমে গেছে। পাশাপাশি বছরের শুরুতেই দুর্ঘটনার কারণে সেভেন থ্রি সেভেন ম্যাক্স নাইন নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। যেখানে প্রতিদ্বন্দী এয়ারবাস আর কোমাকের থাকছে যাত্রীবাহী বিমান, সেখানে বোয়িংয়ের থাকছে সামরিক বিমান।

তবে কোন যাত্রীবাহী বিমান না থাকলেও একটি কেবিনে সেভেন সেভেন সেভেন এক্স যাত্রীবাহী বিমান প্রদর্শনীতে দৃশ্যমান রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। এই বিমানটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুই ইঞ্জিনের বিমান বলে দাবি করে বোয়িং। বিমানগুলো সরবরাহ শুরু হবে ২০২৫ সালেই। প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে লকহেড মার্টিনসহ প্রতিরক্ষা পণ্য প্রস্তুতকারক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এয়ারবাস নিয়ে এসেছে 'এ থ্রি ফাইভ জিরো' ও 'এ থ্রি থ্রি জিরো নিও' মডেলের যাত্রীবাহী বিমান।

প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে ৫০ টি দেশের হাজারের বেশি কোম্পানি। করোনা মহামারির পর ঘুরে দাঁড়িয়েছে এশিয়ার এভিয়েশন খাত। ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট এসোসিয়েশন বলছে, ২০২৩ সালেই ৯০ শতাংশ পর্যন্ত আগের অবস্থায় ফিরেছে বিশ্বের আকাশ যোগাযোগ ব্যবস্থা। সিঙ্গাপুরে শুরু হওয়া এই বিমানের প্রদর্শনী চলবে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

ইএ