দুবাইয়ের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চলছে পাঁচদিনের গালফুড মেলা। খাদ্যপণ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণনের সঙ্গে জড়িত বিশ্বের ১২৭টির দেশের সাড়ে ৫ হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান এতে অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তত্ত্বাবধানে মেলায় আছে দেশীয় অনেক প্রতিষ্ঠান। লক্ষ্য নিজস্ব পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা ও রফতানি বাড়ানো।
সিটি গ্রুপের বিজনেস ডেভেলপমেন্টের ডিরেক্টর লুৎফুল কবির শাহিন বলেন, 'এবছর আমরা ৪৫ থেকে ৫৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে আমাদের বিক্রয় অর্ডার। সেই প্রচেষ্ঠার জন্য আমরা আমাদের বেকারিজে অনেকগুলো নতুন পোডাক্ট এসেছে।'
উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো একদিকে যেমন এই মেলায় বড় পরিবেশকদের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ পাচ্ছে, তেমনি পৃথিবীর কোন দেশে কি ধরণের পণ্যের সম্ভাবনা ও চাহিদা বেশি রয়েছে, এই সম্পর্কেও জানতে পারছে।
আকিজ এসেনশিয়াল লিমিটেডের সিনিয়র ম্যানেজার এক্সপোর্ট সীমা দে বলেন, 'টোটাল বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করার জন্য এইটা অনেক কবড় প্ল্যাটফর্ম। সবাই সেই লক্ষ্যে এইখানে আসে।'
খাদ্যপণ্য প্রদর্শনীর এই মেলায় বাংলাদেশি প্যাভিলিয়ন পড়েছে জা'আবিল হল ফোর এ। প্রতিযোগিতামূলক এই বাজারে তাই নিজেদের আরো সমৃদ্ধ করতে এবং দেশীয় পণ্যের ব্র্যান্ড তৈরিতে দুবাইয়ের এই মেলায় এবার পণ্যের গুণগত মানের পাশাপাশি প্যাকেজিংকেও গুরুত্ব দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
আইডিসি'র বিজনেস ডেভেলপমেন্টের এএসএম ফয়জুল্লাহ জিএম বলেন, 'বেশ কিছু কোম্পানি আমাদেরকে ভালো মানের মোড়ক দিয়েছে যেইগুলাতে আমরা ফুডগ্রেডের পোডাক্টও পাচ্ছি এইগুলো দিয়ে আমরা মার্কেটে প্রতিযোগিতা করতে পারবো।'
চলতি আসরের মেলা চলবে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত। এর মধ্যে ক্রয়াদেশসহ ভাল সাড়া পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে আগামী বছর এই মেলা আরও বড় পরিসরে অংশগ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানান দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেট।'
দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটে কমার্শিয়াল কাউন্সিলর আশীষ কুমার সরকার বলেন, 'আপনি যদি ইউরোপের কথা বলেন, নর্থ আমেরিকার, ল্যাটিন আমেরিকার কথা বলেন, ডিসিসি জোন, মধ্যপ্রাচ্য জোন বলেন প্রত্যেকটা জায়গায় আমাদের পোডাক্টগুলো যাচ্ছে।'
১৯৮৭ সালে ১৩টি দেশের মাত্র ৬৫টি প্রতিষ্ঠান নিয়ে খাদ্যপণ্য প্রদর্শনীর এই মেলার শুরু হয়, যেখানে পরিদর্শনকারী ছিলেন দেড় হাজারের বেশি। অথচ ২৯ তম এই আসরে লক্ষাধিক দর্শনার্থী আসার সম্ভাবনা দেখছে আয়োজকরা।