বিদেশে এখন
0

গাজায় হাজার শতাংশের বেশি খাদ্যের দাম বেড়েছে

যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় খাদ্যের দাম এক হাজার শতাংশের বেশি বেড়েছে। খাদ্য সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির কারণে বাধ্য হয়ে পশুখাদ্যের ওপর নির্ভর করছে গাজার অনেক বাসিন্দা।

হামাসের সঙ্গে যুদ্ধের ১১২ দিন পেরিয়ে গেলেও ইসরাইলের আগ্রাসন থামছে না। প্রতিনিয়তই দীর্ঘ হচ্ছে মরদেহের সারি। প্রাণভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ। বাস্তচ্যুত হয়েছেন উপত্যকাটির ৮৫ শতাংশ মানুষ।

ইসরাইলের আগ্রাসনে বিপুল প্রাণহানির পাশাপাশি ভয়াবহ খাদ্য সংকটে ভুগছে উপত্যকাটির বাসিন্দারা। জাতিসংঘের তথ্য বলছে, ফেব্রুয়ারি নাগাদ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হতে পারে গাজার ৫ লাখ পরিবার। সংকটের মাঝে বেড়ে গেছে নিত্যপণ্যের দাম। এতে ক্ষুধা নিবারণে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোর দিকে চেয়ে আছেন গাজার অধিকাংশ বাসিন্দা।

যুদ্ধের সময় অনেক মানুষ রুটির ওপর নির্ভর ছিলেন। তবে আটা সংকটে বন্ধ হয়ে গেছে রুটির উৎপাদন। বাধ্য হয়ে আটার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে পশুখাদ্য। বার্লি ও ভুট্টার মতো পশুখাদ্য ভাঙিয়ে রুটি তৈরি হচ্ছে।

গাজার বাসিন্দারা বলেন, আমরা ক্ষুধা সহ্য করতে পারলেও আমাদের সন্তানরা পারছে না। ওরা রুটি চাচ্ছে। কিন্তু রুটি পাবো কোথায়? তাই বার্লি ও ভুট্টা ভাঙিয়ে ওদের রুটি বানিয়ে দিচ্ছি।

তারা আরও বলেন, চালের কেজি প্রায় ৪৪০ টাকা হলেও তা পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে ভুট্টার কেজি প্রায় ৯০০ টাকা। এমনকি মানেও খারাপ। তবে বাজারে ভুট্টা পাওয়া যাচ্ছে।

পশুখাদ্যে তৈরি এই রুটিগুলো এতটাই শুষ্ক যে তেল দিয়েও নরম করা যায় না। এমনকি গাজায় চালের তুলনায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে ভুট্টা। তবে বাজারে চাল ও আটার সংকটে প্রাণ বাঁচাতে খেতে হচ্ছে এই রুটি।

যুদ্ধ শুরুর পর গাজায় মাত্র কয়েক হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির তথ্য বলছে, গাজার প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জনকে না খেয়ে থাকতে হচ্ছে একদিন করে। যুদ্ধের পর ১ হাজার শতাংশের বেশি খাদ্যের মূল্য বেড়েছে। তাই অনেকের সঞ্চিত অর্থ শেষ হয়ে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের সামনে গাজার ২০ লাখের বেশি বাসিন্দা।