আগামী সোমবার থেকে শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত 0392120267 এই নম্বরে কল করে পাসপোর্ট ও ভিসা বিষয়ে পরামর্শ নেয়া যাবে।
আজ শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন এম.পি ভার্চুয়ালি এ সেবা উদ্বোধন করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান ফিতা কাটেন।
কল সেন্টার চালুর জন্য হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীদের সেবা ও কল্যাণ নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘প্রবাসী-বান্ধব নীতি’ অনুসরণ করছেন। এ লক্ষ্যে, ৩০ ডিসেম্বরকে ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’ ঘোষণা করেছে সরকার।
তিনি আরও বলেন, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন তাদের সীমিত জনবল দিয়ে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত ১২ লক্ষাধিক প্রবাসীদের পাসপোর্টসহ অন্যান্য সেবা এবং বিদেশীদের ভিসা সেবা প্রদান করে আসছে।
সাম্প্রতিক স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় গত এক বছরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় এসেছেন। ফলশ্রুতিতে, পূর্বের যেকোন সময়ের তুলনায় হাইকমিশনের কাজের পরিধি বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ‘পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ’ ধারণার আদলে সরকারের নির্দেশনায় পাসপোর্ট ও ভিসা সেবা সহজ ও দ্রুততর করতে আউটসোর্সিং কোম্পানি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের পাশাপাশি প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি বন্ধের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রবাসী-বান্ধব নীতি ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ‘কল সেন্টার’ চালু হলো। শিগগিরই ই-পাসপোর্ট ও ভিসা প্রদান কার্যক্রম চালু হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রবাসী-বান্ধব নাগরিক সেবা নিশ্চিতে সম্প্রতি কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেড (ESL) কোম্পানির সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। ই-পাসপোর্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে আবেদন ফরম পূরণ, স্ক্যান ও বায়োমেট্রিকসহ আবেদনের সকল কার্যক্রম ESL সম্পন্ন করবে। হাইকমিশন মালয়েশিয়ার পোস্টাল বিভাগ (Pos Malaysia) এর মাধ্যমে পাসপোর্ট বিতরণ নিশ্চিত করবে।