কানাডার অন্টারিও প্রদেশের শহর টরন্টোকে বাণিজ্যিক রাজধানী বলা হয়। অভিবাসীনির্ভর শহরটি অনেকটা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মতো। টরন্টো শহরে সবকিছুই আছে, তবে এ শহরে আবাসন সংকট যেন বিষফোঁড়া। যা নিয়ে গত বছরজুড়ে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সমালোচনা হয়েছে।
এদিকে আবাসন সংকট দূর করতে ২০২৪ সালে নতুন উদ্যোমে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। তিনি বলেন, ফেডারেল সরকার টরন্টো শহরে নতুন বাসা নির্মাণের জন্য অর্থায়ন করবে। আগামী তিন বছরে ১২ হাজার বাসা তৈরি করা হবে। প্রাথমিক খরচ ৩৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আগামী এক দশকে বাসার সংখ্যা ৫০ হাজারে পৌঁছাবে। আশা করছি, এতে সমস্যা কিছুটা কমবে।
কানাডায় আসা নতুন অভিবাসীদের অবস্থা সবচেয়ে করুণ। ব্যাংকের সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় বাড়ির মালিকরাও বিপাকে পড়েছেন।
কানাডার অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড বলছেন, সংকট কাটাতে সরকারকে এমন গতিতে বাড়ি তৈরি করতে হবে যা ১৯৪০ এবং ৫০ এর দশকের পর থেকে আর দেখা যায়নি।
জানা গেছে, নতুন অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং নির্মাণের ওপর ফেডারেল সরকারের নির্ধারিত ৫ শতাংশ কর বাদ দেয়া হবে। এছাড়া আবাসন সমস্যার সমাধানের জন্য প্রাদেশিক প্রশাসনকেও উদ্যোগী হতে বলা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চলতি বছরে আবাসন সংকট ও ভাড়া নিয়ন্ত্রণে না এলে বড় বিপদে পড়বে সরকার।
২০২৫ সালে কানাডায় ফেডারেল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টি আবাসন ইস্যুতে ক্ষমতাসীন লিবারেলকে নানা মাধ্যমে সমালোচনা করছে।