বিদেশে এখন
0

বিপদ থেকে বাঁচতে ঋণ দেখালেন ট্রাম্পের সহযোগী

২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, যা নিয়ে এখনও চলছে আলোচনা। কারচুপি, প্রভাবিত করা এবং ক্যাপিটল হিলে নজিরবিহীন দাঙ্গাসহ ঘটনাবহুল সে নির্বাচন আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।

জর্জিয়ার নির্বাচনকালীন কর্মী রুবি ফ্রিম্যান ও তার মেয়ে ওয়ান্ড্রেয়া মসের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির দাবি করে আইনের জালে নিজেই ফেঁসে যান সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের সহযোগী ও আইনজীবী রুডি জুলিয়ানি।

জর্জিয়ার সাবেক নির্বাচনী কর্মী ওয়ান্ড্রেয়া মস বলেন, ‘জর্জিয়ার ফুলটন কাউন্টিতে নির্বাচনী কর্মী হিসেবে ১০ বছর কাটিয়েছি। ২০২০ সালের নির্বাচনের পর রুডি জুলিয়ানি আমাকে এবং আমার মায়ের সম্পর্কে যে মিথ্যা বলেছিলেন তা আমাদের জীবনকে উলট-পালট করে দিয়েছে।’

সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখিয়ে জালিয়াতি প্রমাণের চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি। নির্বাচনকালীন কর্মী ওই মা-মেয়ের করা মানহানি মামলায় গত সপ্তাহে রুডি জুলিয়ানির বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন ডিসি'র আদালত প্রায় ১৫ কোটি ডলার জরিমানার রায় দেয়। এ অবস্থায় নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করে দণ্ড থেকে মুক্তি পেতে চাইছেন নিউইয়র্ক সিটির সাবেক এই মেয়র। ইতোমধ্যে নিউইয়র্কের ফেডারেল আদালতে একটি আবেদন করেছেন জুলিয়ানি।

দেউলিয়াত্বের আবেদনে মোট সম্পদের পরিমাণ ১০ থেকে শত লাখ ডলারের মধ্যে দেখানো হয়েছে। এমনকি ১৫ কোটি ১০ লাখ ডলার ঋণ থাকার তথ্য তুলে ধরা হয়।

রুডি জুলিয়ানি বলেন, ‘নতুন বিচারের জন্য অগ্রসর হচ্ছি, অবশ্যই আপিল করবো। কারণ, এটি প্রমাণের সুযোগ দেয়া হয়নি। দেউলিয়াত্বের আবেদন প্রাথমিক পদক্ষেপ মাত্র।’

ওয়াশিংটন ডিসি'র আদালতে জুলিয়ানির বিরুদ্ধে মানহানির এই মামলার বিচার চলছে। এছাড়া জর্জিয়ার আদালতেও তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা চলছে। এসব মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করছেন জুলিয়ানি।