বিদেশে এখন
0

এবার সামরিক সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন জেলেনস্কি

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে ৯০ লাখ ডলারের আর্থিক সহায়তা পেয়েছে ইউক্রেন।

মার্কিন সিনেটে ইউক্রেনের জন্য প্রস্তাবিত সামরিক সহায়তার অর্থ ছাড় বাতিলের পর যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইতে ওয়াশিংটন ডিসিতে গেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। স্থানীয় সময় সোমবার(১১ ডিসেম্বর) ওয়াশিংটনে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলেনস্কি। পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন।

জেলেনস্কি বলেন, 'এই যুদ্ধে পুতিনকে হারতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা বন্ধ হয়ে গেলে পুতিন আরও এগিয়ে যাবে। এসময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, পুতিনের ধারণা ভুল প্রমাণ করতে ইউক্রেনের পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র।'

জেলেনস্কি আরও বলেন, 'পুরো বিশ্ব দেখছে। অন্য দেশগুলোর সামনেও একই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। যদি আপনারা দ্বিধায় পড়েন, স্বৈরশাসকরা সুযোগ নেবে। জানেন যে একজন সেনার অস্ত্রের জন্য অপেক্ষা করা কত কঠিন। প্রতিপক্ষ যখন যুদ্ধ করছে আমার সেনাদের তখন ভাবতে হচ্ছে। পুতিনকে জিততে দেবো না। পুতিন আপনাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র চালাতে পারবে না। কিন্তু প্রপাগান্ডা ছড়াতে পারবে।'

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, 'ইউক্রেনের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ প্রশংসনীয়। যুক্তরাষ্ট্র তাদের পাশে আছে এতে সন্দেহ নেই। ইউক্রেনকে নিজের ভূখন্ড ফিরিয়ে দেয়ার পাশাপাশি রাশিয়াকে যেকোন আগ্রাসন পরিচালনা থেকে বিরত রাখতে ব্যবস্থা নিতে হবে। স্বাধীনতার সঙ্গে কোন সমঝোতা নয়। পুতিন কিছুই করতে পারবে না।'

এদিকে, ওয়াশিংটনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার সঙ্গে সাক্ষাতের পর ইউক্রেনকে আরও অর্থ সহায়তার অনুমোদন দেয় দাতা সংস্থাটি। আইএমএফ জানায়, রাশিয়ার আগ্রাসনের পরও ২০২৩ সালে ভালো অবস্থায় আছে দেশটির অর্থনীতি, ২০২৪ সালেও যা অব্যাহত থাকবে।

আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, 'যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ইউক্রেন যেভাবে দুর্নীতি মোকাবিলা করছে, এতে করে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখবে। আমরা ইউক্রেনকে সহায়তা করে যাবো। ইউক্রেন প্রশংসার দাবিদার।'

এদিকে, ইউক্রেনে অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়িয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। প্রশান্ত মহাসাগরে নামছে মস্কোর দুটি পরমাণু সাবমেরিন। পুতিন বলেন, 'ক্ষেপণাস্ত্রসহ সাবমেরিনগুলো শিগগিরই কাজ শুরু করবে প্রশান্ত মহাসাগরে। দেশের পূর্বাঞ্চলের সীমান্ত রক্ষায় এই সাবমেরিন মোতায়েন করা হবে। রাশিয়ার নৌবাহিনীর সক্ষমতা আরও বাড়ানো হবে। তাদের ভিত্তি নেই, অর্থ নেই। তাদের কোন ভবিষ্যত নেই আমাদের কাছে।'

 এরমধ্যেই কিয়েভে অন্তত ৮টি দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেগুলো ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে। অন্যদিকে, ইরানের ১৮ টি শাহেদ ড্রোন ভূপাতিত করেছে কিয়েভ।

রাশিয়ার হামলা মোকাবিলায় ইউক্রেনকে দুটি মাইন হান্টার দিয়েছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা পরিষদ বলছে, শীত মৌসুমে রাশিয়ার হামলা প্রতিহত করতে চলতি মাসেই ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তার প্যাকেজ ঘোষণা করবে ওয়াশিংটন।