বিশ্লেষকরা বলেছেন, এ পদক্ষেপ মাধ্যমে চীনের বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি (ইভি) নির্মাতারা চীন থেকে ইউরোপে আমদানি করা ইভি গাড়ির ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরোপিত শুল্ক এড়াতে পারবে। যা ইউরোপের বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।
ইতোমধ্যে জার্মানিতে অবস্থিত ড্রেসডেন ও ওসনাব্রুক কারখানা দুটি সম্ভাব্য চীনা ক্রেতাদের কাছে বিক্রির কথাও বিবেচনা করছে ভক্সওয়াগন। তবে এর আগে কোম্পানিটি জানায়, প্রতিষ্ঠানটি তাদের এই দুই কারখানা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
তবে কারখানা বিক্রি করা হলে তা বন্ধ করার চেয়ে সাশ্রয়ী হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এ প্রক্রিয়ায় চীনা কোম্পানিগুলো জার্মানির শ্রমিক ইউনিয়নগুলো থেকে সমর্থন পাবে কী না সেটি এখনো নিশ্চিত নয়।
গত কয়েক বছর জার্মানির বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করেছে চীন। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন জার্মানির এই কারখানা বিক্রি পদক্ষেপ আগামীতে রাজনৈতিকভাবে বেশ স্পর্শকাতর বিষয় হয়ে উঠতে পারে।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের পর চীনের বিষয়ে জার্মান সরকারের অবস্থান এ ধরনের যেকোনো অধিগ্রহণ চুক্তিকেও প্রভাবিত করতে পারে বলে মতামত দিয়েছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।