এবার ঘুষ আর জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে ভারতের বিলিওনেয়ার গৌতম আদানির বিরুদ্ধে। হিন্ডেনবার্গ প্রতিবেদনের পর দুই বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো ঝুঁকিতে পড়ে গেলো বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানটি। বৃহস্পতিবার সকালেই প্রতিষ্ঠানটির বাজারমূল্য প্রায় তিন হাজার কোটি ডলার উধাও হয়ে গেছে। শেয়ারের দর পড়ে গেছে ২০ শতাংশ। আদানি কোম্পানিগুলোর ডলার বন্ডের দরও কমে গেছে।
আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি পোর্টস, আদানি টোটাল গ্যাস, আদানি গ্রিন, আদানি পাওয়ার, আম্বুজা সিমেন্টসহ এনডিটিভির শেয়ারের দর অনেকটাই কমে গেছে। আদানি গ্রুপের ১০টি কোম্পানির বাজারমূল্য মঙ্গলবারও ছিল ১৬ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। বৃহস্পতিবার যা নেমে দাঁড়ায় ১৪ হাজার ১০০ কোটি ডলারে।
ধনাঢ্য ব্যবসায়ী গৌতম আদানির বিরুদ্ধে ঘুষ আর জালিয়াতির অভিযোগ দায়েরের পর আদানি গ্রুপের লেনদেন তদারকি নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটিকে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে কংগ্রেস।
তবে বিজেপি বলছে, এই অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন, প্রমাণ না করা পর্যন্ত অভিযুক্ত সবাই নির্দোষ। তাছাড়া যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঘিরে অভিযোগ সেগুলো যে রাজ্যগুলোতে কার্যক্রম পরিচালনা করে সেসময় বিরোধীদল ক্ষমতায় ছিল।
ফোর্বসের বিলিওনিয়ার তালিকা অনুযায়ী গৌতম আদানির মোট সম্পদ ৬ হাজার ৯৮০ কোটি ডলার। এই ঘটনার পর এক হাজার কোটি ডলার কমে গেছে তার মোট সম্পদ।
এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে ভারতীয় ব্যবসায়ী গৌতম আদানির মালিকানাধীন আদানি গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত ছয়টি সুইস ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ৩১ কোটি ডলারের বেশি অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়।
অর্থ পাচারের অভিযোগে তদন্তের অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নিয়েছিলো সুইজারল্যান্ড সরকার। নিউইয়র্কভিত্তিক আর্থিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের গবেষণা অনুযায়ী, ২০২১ সালে বেআইনিভাবে শেয়ার ও অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত এক তদন্তের প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নিয়েছিলো সুইস কর্তৃপক্ষ।