প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, পরিশোধিত পণ্য রপ্তানির ৫১ শতাংশই ছিল ডিজেল। অন্যদিকে মোটরযান ও বিমানের জন্য গ্যাসোলিন ছিল ২১ এবং জ্বালানি তেল ছিল ৮ শতাংশ। জুন মাসে শোধনাগার থেকে তেল জাতীয় পণ্যের মোট পরিমাণ ছিল দৈনিক ২৫ লাখ ব্যারেল।, যা আগের মাসের তুলনায় ১৭ শতাংশ কম।
জেওডিআইয়ের তথ্যানুযায়ী, জুন মাসে সৌদির অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রপ্তানি ৬৫ লাখ ব্যারেলে নেমে এসেছে। যা আগের মাসের তুলনায় ১ দশমিক ১৬ শতাংশ কম। এছাড়াও এ সময় দেশটির অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন কমেছে ৮৮ লাখ ব্যারেল।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, সৌদি আরবে অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে পেট্রোলিয়াম পণ্যের ব্যবহার ৩ লাখ ৯১ হাজার ব্যারেল বেড়ে ২৭ লাখ ৫০ হাজারে উন্নীত হয়েছে।
২০২২ সালের শেষ দিকে ওপেক প্লাস উল্লেখযোগ্য হারে জ্বালানি তেল উত্তোলন কমানোর ঘোষণা দেয়। এর প্রেক্ষিতে বর্তমানে সদস্য দেশগুলো দৈনিক ৫৮ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল তেল উত্তোলন কমিয়েছে। যা বিশ্বের মোট চাহিদার ৫ দশমিক ৭ শতাংশ।
ব্লুমবার্গ সার্ভের তথ্যানুযায়ী, জুনের ওপেকের তেল উত্তোলনের গড় হার ছিল ২ কোটি ৭০ লাখ ব্যারেল। যা আগের মাসের তুলনায় ৮০ হাজার ব্যারেল কম। ইরাক ও নাইজেরিয়ায় উত্তোলন কমে যাওয়ায় তা সামগ্রিক উৎপাদনে প্রভাব ফেলেছে।
এত চ্যালেঞ্জের মধ্যেও ওপেক ও তার সহযোগীরা সৌদি আরবের নেতৃত্বে জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক বাজার নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। বর্তমানে ব্রেন্টের প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৮৭ ডলার।