এছাড়াও কার্বন নিঃসরণ কমানোর পাশাপাশি ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশসহ এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩০ হাজার কোটি ইয়েন বা ২০০ কোটি ডলার সহায়তা দেয়া হবে। সম্প্রতি নিক্কেই এশিয়া প্রকাশিত খবর থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আগামী শুক্রবার ব্যবসায়ীদের নিয়ে মধ্য সফরে আসবেন কিশিদা। এ সময় অঞ্চলটির পাঁচ দেশের প্রধানদের সঙ্গে প্রকল্পের বিষয়ে আলোচনা ও ঘোষণা দেয়া হবে বলে সূত্রে জানা গেছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, জাপানের রাষ্ট্র মালিকানাধীন নিপ্পন এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ইনস্যুরেন্স (এনইএক্সআই) মধ্য এশিয়ায় রপ্তানি বা বিনিয়োগকারী জাপানি কোম্পানিগুলোকে পাঁচ বছরে ৩০ হাজার কোটি ইয়েন ক্রেডিট লাইন সহায়তা দেবে।
এনএক্সআইয় আটটি ক্যাটাগরিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে ভাগ করে থাকে। এর মধ্যে শীর্ষ রয়েছে কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তান। মূলত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা থেকে উদ্ভূত ঝুঁকি এড়িয়ে বিভিন্ন কোম্পানি যেন ব্যবসা করতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে চান কিশিদা।
ব্যবসায়িক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ডিকার্বোনাইজেশনকেও প্রাধান্য দেয়া হবে বলে জানা গেছে। তুর্কমেনিস্তানের একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানির সাথে একটি প্ল্যান্ট স্থাপন করবে ইটোচু এবং কাওয়াসাকি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ। এখানে প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে পেট্রোল তৈরি করা হবে।
অন্যদিকে শিল্পগ্রুপ আইএই্চআই কাজাখস্তানে ক্লিন-বার্নিং অ্যামোনিয়া থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গবেষণা পরিচালনা করবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরে সেখানে কারখানা স্থাপন করা হবে। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াতে বাণিজ্যিকভাবে এ প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে।
ডিকার্বোনাইজেশনের পাশাপাশি ডিজিটালাইজেশনকেও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে উজবেকিস্তানে ২ হাজার ৩৩০ কোটি ইয়েন ব্যয়ে ডাটা সেন্টার স্থাপনের কথা ভাবছে টয়োটা সুশো এবং এনইসি। কোম্পানিগুলো দেশের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য অবকাঠামো নির্মাণ কাজ করে থাকে।