আন্তর্জাতিক বাণিজ্য
0

চীনকে হটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বাণিজ্যিক অংশীদার জার্মানি

ভূ-রাজনীতিতে চিরশত্রু চীন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবেও জায়গা হারালো। অনেক বছর পর চীনকে হটিয়ে মার্কিনীদের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক মিত্র হিসেবে তালিকার প্রথমে উঠে এসেছে ইউরোপের সর্ববৃহৎ অর্থনীতি জার্মানি। চলতি বছরের প্রথম তিনমাসে প্রায় সাত হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র-জার্মানি।

বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র। অনেক বছর ধরে যার প্রধান ব্যবসায়িক অংশীদার ছিল দ্বিতীয় শীর্ষ অর্থনীতি চীন। ভূ-রাজনীতিতেও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এই চীনই। অবশেষে রাজনৈতিক বৈরিতা স্পষ্ট হতে শুরু করেছে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কে।

অনেকটা নীরবেই চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক দূরত্ব বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যার প্রমাণ মেলে চলতি বছরের প্রথম তিনমাসে দেশ দুটির মধ্যকার লেনদেনে। জানুয়ারি থেকে মার্চে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেন নেমে আসে ছয় হাজার ইউরোতে। চীনকে টপকে এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করেছে ইউরোপের সর্ববৃহৎ অর্থনীতি জার্মানি।

সিএনবিসি'র তথ্য, ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির মধ্যে আমদানি-রপ্তানি লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ৩০০ কোটি ইউরো বা ৬ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। বলা হচ্ছে, একদিকে মার্কিন অর্থনীতিতে গতি আসায় যুক্তরাষ্ট্রে জার্মান পণ্যের চাহিদা বেড়েছে।

অন্যদিকে আগে জার্মানি থেকে রপ্তানিকৃত পণ্য, বিশেষ করে গাড়ি, এখন অভ্যন্তরীণভাবেই উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে চীন। দীর্ঘসময় জার্মানির শীর্ষ ব্যবসায়িক অংশীদার ছিল চীন। সে বাজার হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিকল্প বাজার খুঁজে নিয়েছে জার্মানরা।

বেশ কিছুদিন ধরেই জার্মানির বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে ব্যবধান কমছিল যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের। জার্মান পণ্য রপ্তানিতেও চীনের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রই ছিল বড় বাজার। এর মধ্যেই গেল কয়েক বছরে জার্মানি থেকে আমদানি বাড়ায় মার্কিন প্রশাসন।

বাণিজ্যিক চর্চার ধরন নিয়ে সম্প্রতি একে অপরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরুর ঘটনায় উত্তেজনা বাড়ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও চীনের মধ্যে। আমদানি শুল্ক আরোপেরও হুমকি দিয়েছে দু'পক্ষ।

গেল মাসে জার্মান অর্থনৈতিক ইনস্টিটিউট ইফো'র জরিপে দেখা যায়, চীন নির্ভর প্রতিষ্ঠানের হার চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নেমে এসেছে ৩৭ শতাংশে, ঠিক দুই বছর আগেও যা ছিল ৪৬ শতাংশ।