এশিয়ার দেশগুলো সবচেয়ে বেশি অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে। চলতি মাসে এ অঞ্চলে আমদানির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে দৈনিক ২ কোটি ৭৪ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেলে। ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল দৈনিক ২ কোটি ৬৭ লাখ ব্যারেল আর জানুয়ারিতে দৈনিক ২ কোটি ৭১ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল। এলএসইজি অয়েল রিসার্চ এক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দিয়েছে।
সংস্থাটির দেয়া তথ্য বলছে, মার্চে সরবরাহের উদ্দেশ্যে বেশির ভাগ জ্বালানি তেলই সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির আগে রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল। গতবছরের ডিসেম্বরে ফিউচার মার্কেটে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম ব্যারেলপ্রতি ৮০ ডলারে নেমে যায়, যা ছয় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। ফেব্রুয়ারির শুরুর দিক পর্যন্ত এমন নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় ছিল। নিম্নমুখী দামে সুবিধা নিতেই এশিয়ার ক্রেতারা আমদানি বাড়িয়েছেন।
এশিয়ায় জ্বালানিটির আমদানি বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা পালন করেছে চীন। দেশটি বিশ্বের শীর্ষ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিকারক। এলএসইজির পূর্বাভাস অনুযায়ী, মার্চে দেশটির আমদানি দৈনিক ১ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেলে উন্নীত হতে পারে। ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল দৈনিক ১ কোটি ১১ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল এবং জানুয়ারিতে ছিল ১ কোটি ৪ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেল।
চীনের জ্বালানি তেল পরিশোধনাগারগুলোয় চলতি মাসের এ সময় রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম শুরু হবে। শেষ হবে জুনের শেষ দিকে। ফলে দৈনিক প্রায় আট লাখ ব্যারেল উৎপাদন সক্ষমতা বন্ধ থাকবে। এমন পরিস্থিতিতে যাতে চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ সংকুচিত না হয়, সেজন্য পরিশোধনাগারগুলো আগে থেকে পরিপূর্ণ করে রাখছে। এ কারণেই মূলত দেশটিতে আমদানিতে উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে।
এদিকে ব্যাপক চাহিদা মেটাতে আমদানি বাড়িয়েছে ভারত। দেশটিতে চলতি মাসে আমদানির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে দৈনিক ৪৯ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেলে, ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল দৈনিক ৪৫ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল এবং জানুয়ারিতে ছিল ৫০ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল।
রক্ষণাবেক্ষণের সময়জুড়েই চীন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি বাড়াবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে আমদানি বৃদ্ধির বিষয়টি অর্থনৈতিক উত্থান-পতনের ওপরও অনেক বেশি নির্ভর করছে।