প্রযুক্তি সংবাদ
তথ্য-প্রযুক্তি
0

হাইড্রোজেন এয়ারক্রাফট তৈরিতে কাজ করবে এয়ারবাস-তোশিবা

হাইড্রোজেনচালিত এয়ারক্রাফট প্রকল্পের সুপারকন্ডাক্টিং প্রযুক্তি বিকাশে একত্রে কাজ করবে এয়ারবাস ও তোশিবা। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য একটি টেকসই দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি উৎস ব্যবহারের মাধ্যমে কম কার্বন নিঃসরণ এবং সাশ্রয়ী এয়ারক্রাফট প্রযুক্তি তৈরি।

এই প্রকল্পে জাপানের তোশিবা এনার্জি সিস্টেমের সঙ্গে কাজ করবে ফরাসি কোম্পানি এয়ারবাস আপনেক্সট। তারা একসঙ্গে এয়ারক্রাফটের জন্য বিশেষ সুপারকন্ডাক্টিং প্রযুক্তি ডেভেলপমেন্ট করবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

সম্প্রতি এয়ারবাস আপনেক্সট এরোস্পেস বিষয়ক বিভিন্ন নতুন আইডিয়া নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে। গবেষণার গতি বাড়িয়ে তারা আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে কার্যকরী প্রোটোটাইপ তৈরি করতে চায় বলে জানিয়েছে। এদিকে তোশিবা টিমের সুপারকন্ডাক্টিং প্রযুক্তিতে ৫০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা আছে।

চলতি বছরের অক্টোবরে টোকিওর একটি আন্তর্জাতিক অ্যারোস্পেস প্রদর্শনীতে কোম্পানি দুটি এ সম্পর্কিত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। উভয় কোম্পানিই জানায়, তাদের তৈরি নতুন প্রযুক্তি ভবিষ্যতের এয়ারক্রাফটগুলোর কার্য প্রক্রিয়া বদলে দেবে।

প্রদর্শনীতে তোশিবা এনার্জি সিস্টেমস অ্যান্ড সলিউশন করপোরেশনের পাওয়ার সিস্টেম বিভাগের নতুন প্রযুক্তির দায়িত্বে থাকা নির্বাহী কেনসুকে সুজুকি এবং এয়ারবাস ‘ক্রায়োপ্রপ’ প্রযুক্তি প্রকল্পের প্রধান লুডোভিক ইয়াবানেজ উপস্থিত ছিলেন।

এয়ারবাসের ‘ক্রায়োপ্রপ’ হচ্ছে নতুন প্রকল্পের অন্যতম একটি অংশ। যা গত মে মাসে চালু করা হয়েছিল। এটি তরল হাইড্রোজেনের মাধ্যমে শীতলীকরণে দুই মেগাওয়াট সুপারকন্ডাক্টিং ইলেকট্রিক প্রপালশন সিস্টেম তৈরিতে কাজ করে। এ সিস্টেমটি এয়ারবাসকে বিশেষ সুপারকন্ডাক্টিং ক্যাবলস, মোটর ও কুলিং সিস্টেমের মতো নতুন এয়ারক্রাফট পার্টস তৈরির করার সুযোগ দেবে।

এদিকে প্রায় ৫০ বছর ধরে সুপারকন্ডাক্টিং প্রযুক্তির ওপর গবেষণা পরিচালনা করা তোশিবা, ২০২২ সালের জুনে একটি প্রোটোটাইপ দুই মেগাওয়াট সুপারকন্ডাক্টিভিটি মোটর ঘোষণা করেছিল।

নতুন জোট তৈরি করা জাপানে এয়ারবাসের ভবিষ্যতে পরিকল্পনার অংশ। এভিয়েশন প্রকল্পে জাপানি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কাজ করার জন্য তারা সেখানে একটি নতুন টেক হাব করেছে। এয়ারবাস এরইমধ্যে মিতসুবিশি, কাওয়াসাকি এবং টোরের মতো বড় জাপানি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কাজ করছে।

আগামী দিনের এয়ারক্রাফটের জন্য হাইড্রোজেন জ্বালানি শক্তি নিয়ে এয়ারবাসের বড় পরিকল্পনা রয়েছে। কোম্পানিটি ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বের প্রথম হাইড্রোজেন চালিত বাণিজ্যিক এয়ারক্রাফট চালু করতে চায়।

এরইমধ্যে কোম্পানিটি এয়ারক্রাফটের জন্য চারটি ভিন্ন ডিজাইন তৈরি করেছে। যার মধ্যে তিনটি হাইড্রোজেন-বার্নিং ইঞ্জিন এবং একটি পাওয়ার ইলেকক্ট্রিক মোটর ব্যবহার করে। তবে এয়ারবাসের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বোয়িংয়ের হাইড্রোজেন জ্বালানি শক্তির নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং ডিজাইনগত চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করেছে।

এএম