ক্যালিফোর্নিয়ার ওয়ার্নার ব্রাদার্স স্টুডিও। অধীর অপেক্ষায় টেসলা ভক্তরা। প্রতীকী রোবট নিয়ে হাজির ইলন মাস্ক। এর কিছুক্ষণ পরই আসলো বহুল প্রতীক্ষিত টেসলার রোবোট্যাক্সি। প্রজাপতির মতো ডানা মেলে মাস্ককে বরণ করে নিলো গাড়িটি।
ক্যামেরা ও কম্পিউটার প্রযুক্তির সহায়তায় রাস্তায় চলবে এই সাইবারক্যাব। স্বয়ংক্রিয় এই গাড়িতে ব্যবহার করা হয়েছে লাইডার নামের লেজারভিত্তিক সেন্সর। রোবোট্যাক্সিতে আসন সংখ্যা মাত্র দুটি। নেই স্টিয়ারিং হুইল ও প্যাডেল।
টেসলা কর্ণধার ইলন মাস্কের দাবি, নতুন এই প্রযুক্তির রোবোট্যাক্সি মানব চালিত গাড়ির তুলনায় ১০ থেকে ২০ গুণ বেশি নিরাপদ ও সাশ্রয়ী। প্রতি মাইলে খরচ হবে মাত্র ২০ সেন্ট। গাড়ির চার্জিং হবে ইন্ডাক্টিভ, লাগবে না কোন প্লাগ।
আমরা স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিংয়ে চলে যাবো। আপনি গাড়িতে উঠে ঘুমিয়ে পড়তে পারেন এবং যখন গন্তব্য আসবে আপনি তখন জেগে উঠবেন। এটি জীবন বাঁচাবে এবং দুর্ঘটনা রোধ করবে। আমি মনে করি গাড়িটি মানুষের চেয়ে ১০ গুণ বেশি নিরাপদ। প্রতি মাইলে একটি বাসের জ্বালানি খরচ যেখানে এক ডলার, আমাদের গাড়িটির জন্য খরচ হবে মাত্র ২০ সেন্ট। আপনারা গাড়িটি কিনতে পারবেন, আশা করছি ৩০ হাজার ডলারের কিছু কমে।
স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলতে সক্ষম রোবটচালিত এই সাইবারক্যাব ট্যাক্সি ভাড়া নিতে পারবেন যাত্রীরাও। অনুষ্ঠানে সাইবারক্যাবের পাশাপাশি, রোবোভ্যান নামে আরও একটি স্বয়ংক্রিয় বৈদ্যুতিক গাড়ির কথা জানান ইলন মাস্ক। যা একসঙ্গে ২০ জন যাত্রী পরিবহনে সক্ষম। পাশাপাশি তুলে ধরা হয় টেসলার অপটিমাস হিউম্যানয়েড রোবটেরও কথাও।
২০২৬ সালে উৎপাদনে যাবে টেসলার এই সাইবারক্যাব। আনুষ্ঠানিকভাবে গাড়িটির দাম নির্ধারণ করা না হলেও ধারণা করা হচ্ছে ৩০ হাজার ডলারের কিছু কমে মিলবে টেসলার রোবোট্যাক্সি এই সাইবারক্যাব।