বিশ্বের ৩৫তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম উঠে আসলেও বৈদেশিক বিনিয়োগে পড়েছে ভাটা। যেখানে ঘি ঢেলেছে ৫ আগস্ট পরবর্তী রাজনৈতিক বৈরিতা।
সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ কমেছে ৭১ শতাংশ। এসময় বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ৭৬.৭৯ মিলিয়ন ডলারের।
যা গেল অর্থ বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৬ শতাংশ কম। উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক রূপান্তরে বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইয়ের গুরুত্ব অপরিসীম।
তবে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন, গ্যাস ও পেট্রোলিয়ম, বিদ্যুৎ, খাদ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, নির্মাণ ও সার খাতে বিদেশি বিনিয়োগ টানলেও গেল আশির দশক থেকে অনেকটা তৈরি পোশাকেই আটকে আছে।
দেশে এফডিআই বাড়াতে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পাশাপাশি ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করলেও বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জনে বারবার পিছিয়েছে বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ বাড়াতে ইনভেস্টমেন্ট সামিট আয়োজন করতে যাচ্ছে সরকার।
যেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলোন মাস্কসহ বিলগেটসের মতো ধনকুবেরদের। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অর্থনৈতিক সংস্কার প্রদর্শন, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ সংযোগ তৈরির পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করাই ইতিহাস রচিত এ সামিটের লক্ষ্য।
বৈশ্বিক বিনিয়োগের দুয়ার খুলতে ৭ থেকে ১০ এপ্রিল চারদিনব্যাপী রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে শুরু হবে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫।
৫০ দেশের ৫৫০ এর বেশি বিনিয়োগকারী ও আড়াই হাজার দেশি বিনিয়োগকারী সম্মেলনে অংশ নিতে নিবন্ধন করেছেন। বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের সঙ্গে নিয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।