এ দ্বন্দ্বের জেরে এবার ডেস্কটপ কম্পিউটারে ইউটিউবের গতি কমিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে রাশিয়া। গিজমোচায়নায় প্রকাশিত খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রাশিয়ার প্রবীণ আইনজীবি আলেকজান্ডার খিনশটাইনের মতে, রাশিয়ায় থাকা যন্ত্রাংশ পরিবর্তনে ব্যর্থ হওয়ার পাশাপাশি কনটেন্ট মডারেশন চাহিদা পূরণ করতে না পারায় গতি কমানোর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। তার দাবি আগামী সপ্তাহ নাগাদ ইউটিউবের গতি ৭০ শতাংশের বেশি কমানো হতে পারে।
দেশটির যোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা রসকমনাডজরের অভিযোগ, রাশিয়ায় থাকা অবকাঠামোর প্রতি গুগলের কোনো আগ্রহ নেই। এর প্রভাবে সেখানকার স্থানীয় সহায়ক সংস্থাটি দেউলিয়া হয়ে গেছে। এছাড়াও স্থানীয় পর্যায়ে যে ডাটা সেন্টার রয়েছে সেগুলোর বিল দেয়া থেকে শুরু দেখভালে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
২০২২ সালের মার্চে রাশিয়ার রাষ্ট্র মালিকানাধীন গণমাধ্যমগুলোর চ্যানেল বন্ধ করে দেয়। এর কারণ হিসেবে কোম্পানির নীতিমালাবিরোধী আক্রমণাত্মক ঘটনা দেখানোর কথা বলা হয়। এর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের আরো অবনতি হয়।
এর আগে রসকমনাডজর আরো উদ্যোগ নিয়েছে। যেখানে অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গতি কমিয়ে দেয়ার পাশাপাশি কার্যক্রমও বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে রাশিয়ার অধিবাসীরা ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) এর মাধ্যমে প্লাটফর্মগুলো ব্যবহার করছে বলে জানা গেছে।