ডেটা সেইফটি সেকশনে সিকিউরিটি ব্যাজের মাধ্যমে প্লে স্টোরের নিরাপদ ও সুরক্ষিত অ্যাপগুলো প্রদর্শন করে গুগল। আর এই ব্যাজের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পেলো ইমো। অন্য কোনো ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ এ সেকশনে প্রদর্শন করছে না গুগল। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই সুরক্ষা ও গোপনীয়তা নিশ্চিতে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে গেলো ইমো।
দেখা যায়, ইমো মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের নিরাপত্তায় এই খাতের সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন সিকিউরিটি অ্যাসেসমেন্টে (মাসা) উত্তীর্ণ হয়। এবং গুগল অথরাইজড ল্যাব পার্টনারের মাধ্যমে অ্যাপটিকে স্বাধীনভাবে যাচাই করায়। গুগল প্লে'র সিকিউরিটি ব্যাজের মাধ্যমে বোঝা যায় অ্যাপটির দুর্বলতা চিহ্নিত করা, তা কমিয়ে আনা এবং বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে যাচাই করিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ইমো'র প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ব্যবহারকারীদের জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও নিরাপদ গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে সবসময় গুরুত্বারোপ করে আসছে ইমো। আর এর ফলশ্রুতিতেই গুগল প্লে'র সিকিউরিটি ব্যাজ লাভ করে অ্যাপটি। মাল্টি-ডিভাইস ম্যানেজমেন্ট, টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন ও ফ্যামিলি গার্ড ফিচারের মতো নিরাপত্তা ফিচার তো রয়েছেই। এর পাশাপাশি, পাসকিজ ও সিম বাইন্ডিংয়ের মতো সর্বাধুনিক ফিচার নিশ্চিত করে ব্যবহারকারীদের জন্য এই প্ল্যাটফর্মে নিরাপদ ডিজিটাল স্পেস তৈরি করেছে ইমো।
এছাড়া প্রাইভেসি চ্যাট মোড, ইনভিজিবল ফ্রেন্ডস ও ব্লক স্ক্রিনশট ফর কলসের মতো অন্যান্য সর্বাধুনিক প্রাইভেসি ফিচারগুলো অ্যাপে ব্যবহারকারীদের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নিরাপত্তা স্তর নিশ্চিত করে। গোপনীয়তা নিশ্চিত করা ছাড়াও এ ফিচারগুলো একইসাথে সাইবারবুলিং ও সাইবারক্রাইমের মতো অপরাধ কমিয়ে এনে ইমো ব্যবহারকারীদের জন্য একটি নিরাপদ যোগাযোগের পরিবেশ তৈরিতে ভূমিকা রেখেছে।
এ বিষয়ে ইমো মেসেঞ্জারের বিজনেস ডিরেক্টর মেহরান কবির বলেন, 'এ ব্যাজ ব্যবহারকারীদের প্রাইভেসি ও সিকিউরিটিতে নির্ভরযোগ্য ফিচার নিয়ে আসার ক্ষেত্রে ইমো'র প্রতিশ্রুতির বহিঃপ্রকাশ। ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপদ ডিজিটাল স্পেস তৈরি করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি আমরা। আর এ কারণেই আমরা এই স্বীকৃতি পেয়ে উচ্ছ্বসিত। ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন ফিচার উদ্ভাবন ও যোগাযোগ অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করতে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাওয়ার ক্ষেত্রে আশাবাদী আমরা।'