দেশে এখন
তথ্য-প্রযুক্তি
0

বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করাই নতুন আইনের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত: বিটিআরসি চেয়ারম্যান

সাইবার সিকিউরিটি আইনটি নিরাপত্তার চেয়ে বেশি প্রয়োগ হয়েছে বাকস্বাধীনতা হরণে। এছাড়া আইনটির অধিকাংশ ধারা অসম্পূর্ণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ডিজিটাল মাধ্যমে নাগরিকের বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করাই নতুন আইনের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে মনে করেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান।

২০১৮ সালে হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সমালোচনার মুখে ২০২৩ সালে নতুন রূপ দিয়ে নামকরণ করা হয় সাইবার নিরাপত্তা আইন। কিন্তু আইনটিকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা, অসম্পূর্ণ ও বাকস্বাধীনতা হরণের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

টেলিকম এন্ড টেকনোলজি রিপোর্টারস নেটওয়ার্কের উদ্যোগে সাইবার নিরাপত্তা আইন, নিরাপত্তা ও বাকস্বাধীনতার ভারসাম্য কেমন? শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করে। এসময় বক্তারা বলেন, এ আইনে নিরাপত্তা নিয়ে যতটুকু চিন্তা করা হয়েছে তার চেয়ে বেশি হরণ করা হয়েছে বাকস্বাধীনতাকে। 

আইনটির অধিকাংশ ধারা অসম্পূর্ণ ও তথ্য নিরাপত্তা ও সংরক্ষণ নিয়েও নেই কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা। এতে আগামী দিনে বাংলাদেশের তথ্য বেহাতের শঙ্কা আছে বলে মনে করেন তারা।

বক্তাদের একজন বলেন, 'আইন নিয়ে সমস্যা না। আমরা অনেক সময় ব্রিটিশ আইন নিয়ে সমালোচনা করি। যেখানে সংস্কার করা দরকার সেখানে করা হবে তবে একেকটার একেকটা আইন করতে হবে সেটা করলে আরও ঝামেলা হবে।'

আরেকজন বলেন, 'মানুষকে ঠিক হওয়ার একটা সুযোগ থাকতে হবে। সে যেন বুঝতে পারে আমি এই ধারা ভাঙ্গলে  আমার শাস্তি ও জরিমানা দিতে হবে।'

সাইবার সিকিউরিটি আইনের ধারাগুলোই অসম্পূর্ণ বলে মনে করেন অনেকে। ভাষাগত কারণেই এ আইন পরিবর্তন করে খুব বেশি লাভ নেই। তাই আইনটি বাতিল করে নতুন আঙ্গিকে লিখতে হবে বলে মনে করেন তারা। এছাড়া পরোয়ানা ছাড়া তল্লাশির ৪২ নম্বর ধারাটি সম্পুর্ণ বাতিল করা উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

রবি চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার ব্যারিস্টার মো. সাহেদুল আলম বলেন, 'আমাদের সাইবার সিকিউরিটি আইনের ৩৭ টা ধারাতেই বলা আছে কিভাবে কনটেন্ট ব্লক, কনটেন্টের মাধ্যমে আইন ভঙ্গ হলে তারা জন্য কি শাস্তি এইসব নিয়ে বলা আছে।' 

সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করার সঙ্গে ডিজিটাল মাধ্যমে বাকস্বাধীনতাও যেন রক্ষা করা যায় সেদিক বিবেচনায় এই আইনকে ঢেলে সাজাতে হবে। তাই সাইবার সিকিউরিটি আইনটি বাতিলের দিকেই গেলেও নতুন আইন করার আগে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা জরুরি বলে মনে করেন সরকারের এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী বলেন, 'ডিজিটাল মাধ্যমে বাকস্বাধীনতা মানে লিমিটলেস না। এখানে একটা ফাইন্ড ব্যালেন্স খুজে বের করা।'

আইনটি যেন খুব দ্রুতই আবার চেঞ্জ করতে না হয় তাই আইওটি এবং এআই নিয়েও নতুনসব ধারা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর