বাংলা হোটেল, চাইনিজ-থাই রেস্টুরেন্ট কিংবা ক্যাফ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সৌখিন এই খাতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন বাংলাদেশিরা। ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগ, ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা থাকায় রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় বাড়ছে কর্মসংস্থান।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রেস্তোরাঁ ব্যবস্থাপক ফজলু মজুমদার বলেন, ‘প্রতি মাসে নতুন নতুন রেস্টুরেন্ট হচ্ছে। এ ব্যবসা আসলে খুবই লাভজন একটা ব্যবসা। যে কারণে নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ার ক্ষেত্রে মানুষ আগ্রহ পাচ্ছে।’
দেশটির শ্রমঘন অঞ্চলে এই ব্যবসায় একসময় পাকিস্তানি, আফগান ও ভারতীয়দের আধিক্য ছিল। তবে দেশীয় রেস্তোরাঁ ও বাঙালি খাবারের চাহিদা থাকায় ধীরে ধীরে অবস্থার পরিবর্তন হয়।
দুবাই, আবুধাবি, শারজা, আজমান সহ প্রায় প্রতিটি শহরে নতুন প্রতিষ্ঠান চালু করছেন প্রবাসী ব্যবসায়ীরা। স্বল্প পুঁজিতে কম সময়ে সফল হবার গল্পও লিখেছেন অনেকে। তবে উদ্যোক্তারা বলছেন, ব্যবসা সম্প্রসারণ নিয়ে পরিকল্পনা থাকলেও দক্ষ জনবলের অভাবের পাশাপাশি রয়েছে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে ভিসা জটিলতা।
প্রতিষ্ঠান মালিকেরা বলছেন, অদক্ষ কর্মীদের ক্ষেত্রে বেতন শুরু হয় ১ হাজার দিরহাম থেকে। দক্ষ কর্মীদের ক্ষেত্রে এ সংখ্যা পৌঁছায় ২ থেকে ৩ হাজার দিরহামে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৬৫ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা।
বাবুর্চি, হিসাব রক্ষক, ডেলিভারি ম্যান ও সহকারী কর্মীদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের মানের উপর নির্ভর করে বেতন কাঠামো। অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কর্মীদের দেওয়া হয় অগ্রাধিকার।
ফজলু মজুমদার বলেন, ‘আমাদের এখানে বাংলাদেশ থেকে বেশিরভাগ নন-স্কিল লোক আসেন। এখানে এসে তাদের কাজ শিখতে হয়। এতে করে তাদের কম বেতনে কাজ শুরু করতে হয় এবং নতুন করে শিখতে হয়। নতুন করে কাজ শেখার সময় কেউ তো শতভাগ এফোর্ট দিতে পারবে না।’
সৌখিন ও প্রতিযোগিতামূলক এই ব্যবসায় টিকে থাকতে সঠিক পথে বিনিয়োগ ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মীর বিকল্প দেখছেন না উদ্যোক্তারা। তাই দক্ষ জনবল তৈরিতে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগের বিষয়ে জোর দিচ্ছেন তারা। পাশাপাশি দেশটিতে বাংলাদেশি কর্মীদের অভ্যন্তরীণ মালিক পরিবর্তন ও ভিসা জটিলতা নিরসনের আহ্বান প্রবাসী ব্যবসায়ীদের।