একজন ফুটবল ভক্তের বাংলাদেশ দলের জার্সির সাথে ছবি তোলার দৃশ্য। মূলত লাল রঙের এ জার্সিটি বাফুফের কিট স্পন্সর হিসেবে পরিচিত দৌড় নামের এক দেশিয় প্রতিষ্ঠানের তৈরি।
একটা সময় মাঠের ফুটবলে বারবার ব্যর্থতার চিত্র ফুটে উঠায় এ খাতে কেউই আগ্রহ দেখাতো না বিনিয়োগের। তবে বর্তমানে দৃশ্যপট বদলেছে অনেকটাই।
প্রথমবারের মতো বাফুফের ঘরে এখন জার্সি স্পন্সর ছাড়াও রয়েছে জাতীয় পুরুষ ফুটবল দলের আলাদা পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান। তাহলে কি হামজার মতো ইংলিশ লিগে খেলা তারকা ফুটবলার আসার কারণেই চিত্র বদলেছে ফুটবলের? নাকি অন্য কোনো কারণ?
দৌড়ের সিইও আবিদ আলম চৌধুরী বলেন, ‘প্রথমবারের মতো একটা পরিবর্তন এসেছে। আগে কিটের জন্য কোনো স্পন্সর ছিল না, সেক্ষেত্রে এগুলো বাফুফে নিজেরা বানিয়েছে। তবে এখন হামজা আসায় আমরা অনেক ভালো একটা সাড়া পেয়েছি। সামনে বাফুফের সাথে যুক্ত হতে আরো অনেকেই আসবে।’
ফেডারেশন বলছে, এখনো পুরোপুরি কাটেনি বাফুফের আর্থিক সমস্যা। তবে আশা, আগামী দুই বছরে অনেকটা বদলে যাবে দেশের ফুটবলের অর্থনৈতিক চিত্র।
বাফুফের মার্কেটিং চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের স্পন্সরের ঘাটতি ছিল অনেক। তবে আলহামদুলিল্লাহ আমরা শুরু করেছি। আমরা ভালো ভালো পার্টনার আনতে পেরেছি, সামনেও আরো অনেকে আসবে। আমাদের টাকার ঘাটতি আছে, তবে সেই ঘাটতি পূরণ করতে আমাদের ১ থেকে ২ বছর সময় লাগবে।’
ফুটবল সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু ঢাকা কেন্দ্রিক আর্থিক সমস্যা সমাধান করলেই চলবে না। দেশের তৃণমূল পর্যায়ে ফুটবলের উন্নয়নে বিনিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে বাফুফের। তাহলেই ফুটবলে দেখা মিলবে সত্যিকারের উন্নয়নের।