১৯৮১ সালের দোসরা এপ্রিল প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। দীর্ঘ ৩৪ বছর পর ২০১৫ সালের এপ্রিলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায় এই ব্যবস্থা।
তবে ২০২৪ সালে ফের চালু হয় রোম টু ঢাকা সরাসরি ফ্লাইট। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে নতুন করে চালু হওয়া ফ্লাইট সার্ভিসের বর্ষপূর্তি উদযাপন হয়েছে ইতালিতে।
রোম-ঢাকা ফ্লাইটের বর্ষপূর্তিতে এই রুটে ফ্লাইটের সংখ্যা বৃদ্ধির আশা করছেন বিমান বাংলাদেশের কর্মকর্তারা। পাশাপাশি হাতছানি দিচ্ছে রোমের পরে মিলান থেকেও ফ্লাইট চালুর সম্ভাবনা।
মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস-বিমানের আশরাফুল আলম ডিরেক্টর বলেন, ‘আমরা বর্তমানে তিনটা অপারেশন আছে। ড্রিমলাইনার দিয়ে রোম-ঢাকা-রোম অপারেশন চলছে। প্রবাসীদের অনুপ্রেরণায় আমরা দুইটার জায়গায় আমরা তিনটা চালু করেছি।’
ইউরোপের ৮টি দেশের ১১টি বিমানবন্দর থেকে রোম হয়ে ঢাকায় যাতায়াত বাড়ছে। পাশাপাশি ইতালির ১২টি শহর থেকে কানেক্টিং ফ্লাইটের মাধ্যমেও এই রুটে দেখা মিলছে উল্লেখযোগ্য যাত্রী। কানেক্টিং ফ্লাইটের সুবিধা কাজে লাগাতে পারলে বিমানের লাভবান হবার সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি রাষ্ট্রদূতের।
ইতালির রোমের অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত এ.টি.এম. রকিবুল হক বলেন, ‘এটা একটা বড় উদ্যোগ এবং আমি মনে করি এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিমানের যাত্রী সংখ্যা আরো বাড়বে এবং ইতালির বিভিন্ন শহরে যারা আছেন তারা যেমন বেনিফিটেড হবে তেমনি ইইউর প্রবাসীরাও এই সুযোগটা পাবে।’
বর্ষপূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে ২০২৪ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সর্বাধিক টিকেট বিক্রেতাদের পুরস্কৃত করা হয়।
পপুলার ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস ডিরেক্টর শাহাদাত হোসেন সাজু বলেন, ‘এই কৃতিত্ব শুধু আমাদের একার নয়, বরং সকল গ্রাহক, এজেন্ট ও শুভানুধ্যায়ী সমন্বয়ে আজকে আমরা এটা অর্জন করেছি। গ্রাহকদের আস্থা ও ভালোবাসা না থাকলে হয়ত আমরা এতদূর আসতে পারতাম না।’
সংশ্লিষ্টদের আশা, লাল সবুজের পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স শীঘ্রই ইতালিসহ ইউরোপ জুড়ে প্রবাসীদের জন্য আবির্ভূত হবে গর্বের প্রতীক হিসেবে।