ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ ইতালি। শ্রমিক ঘাটতি মেটাতে ২০২৩ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে সাড়ে ৪ লাখ জনশক্তি নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে দেশটির। পূর্ব ঘোষিত সেই গেজেট অনুযায়ী ২০২৫ সালে ১ লাখ ৬৫ হাজার শ্রমিক নেবে ইতালি। তবে এবার ঝুকিপূর্ণ দেশের তালিকায় নাম এসেছে বাংলাদেশের। তালিকায় আরও আছে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার নাম।
দালালের খপ্পড়ে পরে ২০২৩ থেকে ২৪ সালে বহু বাংলাদেশি ইতালিতে গিয়ে ইউরোপের অন্য দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। এতেই মূলত ঝুকিপূর্ণ দেশের তালিকায় নিয়ে গেছে বাংলাদেশকে। তবে জনশক্তি নেয়ার বিষয়ে রোম ঘোষিত নতুন নিয়মে, আবেদন জমা দেয়ার বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও ছাড়পত্র বা পরবর্তী ভিসা পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই বাংলাদেশিদের।
ইতালি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাইয়ানি বলেন, ‘ইতালিতে বৈধপথে শ্রমিক আসার দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার নাম রয়েছে। কিন্তু আপাতত বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ ও জটিলতার কারণে স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে পরবর্তীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে এ নামের তালিকা পরিবর্তনও হতে পারে।’
ইতালির শ্রমবাজার নিয়ে অনিয়ম ও দালাল চক্রের প্রভাবে বাংলাদেশ কঠিন সময় পাড় করবে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এ অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের হস্তক্ষেপের আহ্বান ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশিদের।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের একজন বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার যদি এদেশের সরকারের সাথে আলোচনা করে বিষয়টা সমাধান করে তাহলে আর এই সমস্যা থাকবে না।’
ঘোষণা অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে মার্চ পর্যন্ত চলবে আবেদন পত্র পূরণ ও জমা দেয়ার প্রক্রিয়া। ইতালিতে বৈধপথে শ্রমিক যাওয়ার সুযোগ থেকে দীর্ঘ ৮ বছর পর ২০২০ সালে কালো তালিকামুক্ত হয়েছিল বাংলাদেশ।