লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা 'টাওয়ার হ্যামলেট'স কাউন্সিল। এই কাউন্সিলের নির্বাচিত মেয়রসহ জনসংখ্যার প্রায় ৩৩ শতাংশ বাংলাদেশি। বাংলাদেশিদের সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে এই এলাকাগুলোতে ব্যাপকভাবে বেড়েছে বাংলা ভাষার প্রচলন।
লন্ডনে 'কারি ক্যাপিটাল' হিসেবে খ্যাত ব্রিকলেনে প্রায় সিংহভাগ ব্যবসা বাংলাদেশিদের মালিকানাধীন। বাংলাদেশি কমিউনিটির অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ব্রিকলেন এলাকার নামকরণ করা হয়েছে বাংলা টাউন। এছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সড়কের নাম লেখা হয়েছে বাংলা ভাষায়।
টাওয়ার হ্যামলেট কাউন্সিলে নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকে বাংলায় নামকরণের দাবি জোরালো হয়। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর নামকরণে ইংরেজীর ভাষার পাশাপশি যুক্ত হয় বাংলা।
বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ইউকের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম বলেন, 'বাংলাদেশিদের দেখানোর জন্যই এখানে বাংলা লেখা স্থাপন করা হয়েছে। এই শহরে রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশিদের অবস্থানের কারণেই এটা করা হয়েছে।'
সাপ্তাহিক জনমতের সম্পাদক সৈয়দ নাহাস পাশা বলেন, 'এখানকার দোকানপাট ও রাস্তাঘাটে ইংরেজির সাথে সাথে বাংলা লেখা আছে।'
পূর্ব লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে লন্ডনের ব্যস্ত ট্রেন স্টেশন হোয়াইট চ্যাপেল স্টেশনে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলায়ও নামফলক যুক্ত করেছে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল।
ব্রিটেনে বাংলাদেশি কমিউনিটির পথচলার শুরু থেকেই হোয়াইটচ্যাপেল জায়গাটি ঘটনাবহুল বিভিন্ন ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে। এবারহোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনের নামকরণ করা হলো বাংলায়। ইংরেজী ভাষার বাইরে বাংলায় স্টেশনের নামকরণ লন্ডনে আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশনগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম। এমন স্বীকৃতিতে খুশি কমিউনিটির সাধারণ মানুষ।
হোয়াইটচ্যাপেলের প্রধান লাইব্রেরিতে বিশাল বাংলা লেখা নামফলক স্থাপিত হয়েছে। এছাড়াও পূর্ব লন্ডনের বেশিরভাগ লাইব্রেরিগুলোতে রয়েছে বাংলা বইয়ের ব্যাপক সমাহার।
ষাটের দশক থেকে ব্রিটেনে বাংলাদেশিদের পথচলার শুরু। বর্তমানে প্রায় ৮ লাখ বাংলাদেশির বসবাস দেশটিতে।