এই আসরে প্রতিদিন হাজারও দর্শনার্থীর সমাগম ঘটছে। সপ্তাহে ৬ দিন বিকাল চারটা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মেলায় ভিড় থাকে।
ড্রাগন লেক, কিডস থিয়েটার, হেরিটেজ ভিলেজ ঘিরে এবারও বেশ আনাগোনা দর্শনার্থীদের। মরক্কোর অর্গানিক তেল, জাপানি কাবুকি মুখোশ, ইরানের জাফরান, দক্ষিণ এশিয়ার কাশ্মীরি শাল সাড়া ফেলার পশাপাশি হস্তশিল্প, টেক্সটাইল, গহনা সামগ্রীও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
অর্ধবছরের এই মেলায় ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান কিংবা আফ্রিকার অংশগ্রহণ থাকলেও মেলায় এবারও বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ান নেই। তবে ভিনদেশি প্যাভিলিয়নে স্টল ভাড়া নিয়ে কয়েকজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা বলেন, 'এখানে অনেক বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান এবং দোকান আছে। বাংলাদেশ খুব এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সবচেয়ে দু:খের বিষয় এখানে বাংলাদেশি কোন প্যাভিলিয়ন নাই।'
বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও প্রতিযোগিতামূলক বাজারে নিজেদের জানান দিতে যেখানে অন্যান্য দেশ এই মেলায় অংশগ্রহণ করে। সেখানে বরাবরই বাংলাদেশ পিছিয়ে। তবে ব্যবসায়ীদের মতো দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীরাও বাংলাদেশি পণ্যের সমাগম চান এই মেলায়।
বাংলাদেশি দর্শনার্থীরা বলেন, 'যদি বাংলাদেশি প্যাভিলিয়নটা আসতো তাহলে ব্যবসায়ীদের জন্য ভালো হতো। আমাদের দোকান নিতে কোন সমস্যা হতো না। বাংলাদেশের জামদানি এবং হাতে বুনা শাড়ি সবাই খুব পছন্দ করে। এখানে আসলে এখানকার লোকরাও পছন্দ করবে।'
চলতি বছর গ্লোবাল ভিলেজে ২৭ টি প্যাভিলিয়নে অন্তত সাড়ে তিন হাজার খুচরা এবং দুই শতাধিক খাবারের দোকান স্থান পেয়েছে। জমজমাট এই মেলায় প্রতিবছর দর্শনার্থীর রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। গত মৌসুমে ৯০ লাখ দর্শণার্থী মেলা পরিদর্শন করে। ২৮ এপ্রিল মেলার পর্দা নামবে।