স্বাস্থ্য
0

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় গঠন হচ্ছে মেডিকেল বোর্ড

জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের চোখের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতে প্রয়োজনে বিদেশ থেকে আরও চিকিৎসক দল আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন। এছাড়া আহতদের জন্য দ্রুতই মেডিকেল বোর্ড গঠন হবে বলে জানান তিনি। অরবিজ ইন্টারন্যাশনাল ও সাজেদা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে রাজধানীতে এক সেমিনারে একথা জানানো হয়েছে।

জুলাইয়ের ছাত্র জনতার আন্দোলনে দেড় হাজারের বেশি প্রাণ ঝরেছে। আহত হয়েছেন ৩১ হাজারের বেশি মানুষ। আহতদের একটি বড় অংশ দুটি বা একটি চোখ অন্ধ হয়ে যায়। কারও চোখ অন্ধ না হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্যাপকভাবে। যাদের সবারই প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার। যা বাস্তবায়নে করণীয় ঠিক সাজিদা ফাউন্ডেশন ও অরবিজ ইন্টারন্যাশনাল এক সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে আহতদের চোখে গুলি লাগার ধরণ, ভোগান্তি নিয়ে কথা বলেন চিকিৎসকরা। রোগীদের চিকিৎসায় ফান্ডিং সমস্যা নেই বলা হলেও, কী পদ্ধতিতে সহায়তা করা হবে তা এখনও জানায়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যে কারণে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে পড়তে হচ্ছে নানা প্রশ্নের মুখে।

বাংলাদেশ আই হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. নিয়াজ আবদুর রহমান বলেন, সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল আই হসপিটালকে লিখেছি এবং আমাদের সব লেখার অর্থ হলো জানতে হবে জিনিসটা। আমাদেরকে কি সহায়তা তারা করতে পারে তারা যাতে আসে।

আগামী নভেম্বরে অরবিজ ইন্টারন্যাশনালের উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল আহতদের সেবায় কাজ করবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর।

অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনির আহমেদ বলেন, 'বাংলাদেশ আই হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. নিয়াজ আবদুর রহমান বলেন, ‘সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল আই হসপিটালকে লিখেছি এবং আমাদের সব লেখার অর্থ হলো জানতে হবে জিনিসটা। আমাদেরকে কি সহায়তা তারা করতে পারে তারা যাতে আসে।’

তবে চিকিৎসা ছাড়াও চোখ হারানো ভুক্তভোগীদের পুনর্বাসনের কথা জানালেন জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সম্পাদক।

জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন সম্পাদক মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেন, 'আমরা সব থেকে বেশি দৃষ্টি দিচ্ছি তাদের দিকে যারা পারিবারিকভাবে অসচ্ছল। অর্থাৎ যাদের পরিবার ঠিক মতো চলতে পারছেনা।'

আহতদের সব ধরনের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ। আর উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতে মেডিকেল বোর্ড গঠনের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক।

স্বাস্থ্য অধিদফতর উপ-পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, 'কোনো বেসামরিক প্রতিষ্ঠান তাদের সামর্থ্যের বাইরে যেতে না পারে সেক্ষেত্রে আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিলে আমরা ব্যবস্থা নিব।'

প্রয়োজনে চীনের মেডিকেল প্রতিনিধিদের মতো অন্যান্য দেশের মেডিকেল প্রতিনিধিরাও বাংলাদেশে আসবে বলে আশ্বস্ত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন। তিনি বলেন, 'সেবা ফাউন্ডেশন একটা প্রতিষ্ঠান তাদের সহযোগিতায় একাধিক টিম বাংলাদেশে আসতে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নিচ্ছি।'

আহতদের চিকিৎসা ও আর্থিক সহায়তা দিতে প্রথম থেকে ই কাজ করছে সাজিদা ফাউন্ডেশন। সমন্বিতভাবে কাজ করলে রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব বলে মত ফাউন্ডেশনটির সিইও,র।

সাজিদা ফাউন্ডেশনের সিইও জাহিদা ফিজ্জা কবির বলেন, 'সাজিদা ফাউন্ডেশনের নিজস্ব অর্থায়ন এবং কিছু ব্যক্তির সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে আমরা শুরু করলাম। সবচেয়ে বড় সহযোগিতা পেলাম বাংলাদেশ ফার্মাসিটিক্যাল এ্যাসিয়শেন থেকে'

আহতদের অনেকেই ভাবছেন বিদেশে গেলেই চোখের আলো ফিরে আসবে। এই ভ্রান্তি দূর করে যাঁদের প্রয়োজন তাদেরকেই বিদেশে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

এফএস