দেশে এখন
স্বাস্থ্য
0

চট্টগ্রাম মেডিকেলে প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছে ৭০-১০০ শিশু

প্রচণ্ড গরমে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। চট্টগ্রাম মেডিকেলে শিশু ওয়ার্ডে প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছে ৭০ থেকে ১০০ রোগী। গত দশ দিনে ওয়ার্ডটিতে মারা গেছে অন্তত ৯ শিশু। চাপ বেড়েছে মেডিসিন ওয়ার্ডেও। শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি হচ্ছে তিন থেকে চার গুণ।

হাসপাতালে নাতিকে দেখতে এসেছেন বৃদ্ধ আবদুল হামিদ। ওয়ার্ডে ঢুকতে না পেরে বাইরে তীব্র গরমের অপেক্ষায় নিজেই হয়ে পড়লেন অসুস্থ। পিতাকে তাই হাত পাখার বাতাসে কিছুটা সস্তি এনে দেয়ার চেষ্টা করছিলেন ছেলে মো মোশাররফ।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের বাইরে গরমের তীব্র প্রভাবে নাকাল হওয়া রোগীর স্বজনদের মধ্যে তিনিও একজন।

আবদুল হামিদের ছেলে বলেন, 'প্রচন্ড গরমে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়েছে।' 

বৈশাখের তাপপ্রবাহে যখন নাকাল জনজীবন। তখন গরমের নানা অসুখ আর রোগবালাই আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছেন বহু রোগী ও স্বজন। বিশেষ করে শিশু ও মেডিসিন ওয়ার্ডে দেখা গেল রোগীর বাড়তি চাপ।

শিশু ওয়ার্ডে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়ায় আক্রান্তদের চাপ বেড়েছে। রমজানে যেখানে ভর্তি হতো ৩০ থেকে ৪০ জন সেখানে এখন দিনে ভর্তি হচ্ছে ৭০ থেকে ১০০ রোগী। গত দশ দিনে এই ওয়ার্ডে মারা গেছে ৯ শিশু।

শিশুর স্বজন একজন বলেন, 'সারা শরীরে চুলকানি শুরু হয়েছিল এরপরে শরীর চাক চাক অবস্থা হয়ে গিয়েছে। আজকে ছয়দিন ধরে এমন অবস্থা রয়েছে।'

চাপ বেড়েছে মেডিসিন ওয়ার্ডেও। এখানকার তিনটি ইউনিটে ২০০ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি হচ্ছে এখন তিন থেকে চার গুণ রোগী।

স্বজনদের গরমের কষ্ট পাওয়ার বিষয়ে নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করেছে কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, 'ওয়ার্ডের ভেতর, আইসিইউতে, এইচডিইউসহ বিভিন্ন জরুরি সেবায় সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ নিশ্চিতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।'

এই গরমে রোগবালাই থেকে বাঁচতে প্রচুর তরল গ্রহণ ও শিশুদের জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে দেরি না করে হাসপাতালে নিয়ে আসার পরামর্শ চিকিৎসকদের।

ইএ