স্বাস্থ্য
0

চট্টগ্রামে গাক এর ফ্রি চক্ষু ও স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প চালু

ঢাকা, রাজশাহী, রংপুরের পর এবার চট্টগ্রাম বিভাগেও ফ্রি চক্ষু ও স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প চালু করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা-গাক। কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকার ৫টি ক্যাম্পে ১ হাজার রোগীকে প্রাথমিক সেবা দিয়েছে সংস্থাটি। আগামীতে সারাদেশে চক্ষু ও স্বাস্থ্য সেবা বাড়ানোর আশ্বাস সংস্থাটির।

চোখের সমস্যার কারণে মাথাব্যাথা, তবে নানা বাস্তবতায় শহরে গিয়ে ডাক্তারকে ভিজিট দিয়ে চোখ দেখানোর সুযোগ হচ্ছিলো না সত্তরে পা দেওয়া সোলায়মানের। এরইমধ্যে বাড়ির পাশেই সুবর্ণ সুযোগ নিয়ে হাজির গ্রাম উন্নয়ন কর্মের চক্ষু ক্যাম্প। বিনামূল্যে ডাক্তার দেখিয়ে ড্রপ, ট্যাবলেটের সঙ্গে চশমা ফ্রি পেয়ে ভীষণ খুশি তিনি।

সোলায়মান বলেন, 'তারা আমার সব সমস্যা দেখার পর ঔষধ দিয়েছে। কোনো টাকা দিতে হয়নি আমাকে।'

কক্সবাজারের ঝিলংজার খরুলিয়া গ্রামে ফ্রি চক্ষু ও স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্পে এসেছেন দুই শতাধিক নারী-পুরুষ। বেশিরভাগের চোখের কোন না কোন সমস্যা থাকলেও কারো কারো রয়েছে অন্যান্য রোগের জটিলতা। ফেব্রুয়ারি মাসে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৫টি ক্যাম্পে অন্তত ১ হাজার রোগীকে চক্ষু ছাড়াও নানা ধরনের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করেছে দেশের অন্যতম শীর্ষ বেসরকারি সংস্থা, গ্রাম উন্নয়ন কর্ম (গাক)।

এক স্বেচ্ছাসেবী জানান, 'যেসকল রোগীর চশমা দিলেই সমাধান হয়ে যাবে তাদেরকে স্যার আমার কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছে আমি চেষ্টা করছি চশমা দেওয়ার।'

বিনামূল্যের এই ক্যাম্পগুলোতে অংশ নিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল ও সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. আল মোস্তাকিম অর্থি বলেন, 'চোখে দেখতে সমস্যা হচ্ছে, ডিভাইস কিছু ব্যবহার করলে মাথা ব্যাথা হচ্ছে, একটা নির্দিষ্ট বয়সের আগেই চোখের ছানি জাতীয় সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এমন রোগীরা আমাদের এই ক্যাম্পে সেবা নিতে আসছে।'

শুধু প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নয়, ৩টি চক্ষু ক্যাম্পে আসা রোগীদের মধ্যে বাছাইকৃত ৩৫ জনকে নিজেদের পরিবহনে শহরের বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতালে এনে বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন করিয়েছে গাক।

গাক এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ড. খন্দকার আলমগীর হোসেন বলেন, 'কারও চোখের পাওয়ারের সমস্যা হলে আমার চশমা প্রেসক্রাইব করছি। যাদের চোখের ছানি সমস্যা পায় তাদেরকে নিজস্ব পরিবহনে হাসপাতালে এনে অপারেশনের পর আবার বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়।'

হেলথ ক্যাম্পে সহযোগিতা করে স্থানীয় প্রশাসন। তারা জানান, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এলে আরও উপকৃত হবেন এলাকাবাসী।

কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সম্রাট খীসা বলেন, 'গাক এর মাধ্যমে একদম আপনাদের ঘরের দরজায় সেবা পাওয়ার মতো। যারা এই ক্যাম্পে আসছেন আপনারা চোখ দেখাবেন। এই ফ্রি সেবা নিবেন।'

ঢাকা, রাজশাহীসহ দেশের ২৩টি জেলায় ক্যাম্পের পর চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজারেও ক্যাম্প শুরু করলো গাক। আগামীতে দেশের সবকটি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এই ক্যাম্প পরিচালনার আশ্বাস গাক কর্তৃপক্ষের।

ইএ