আজ (বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি একবারও। কুয়াশার চাদরে মোড়া পুরো জেলা যেন ঘুম ঘুম আবেশে ঢাকা। সূর্যহীন এ দিনে শীতের তীব্রতা বেড়েছে দ্বিগুণ।
এদিন সকাল ৯ টায় শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শহর ও শহরের বাইরের বেশ কিছু এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিন সন্ধ্যার পর শহরে তাপমাত্রা একটু বেশি থাকলেও হাওর, পাহাড় ও চা-বাগান এলাকায় বসবাসরত মানুষের খুব বেশি ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। ঠান্ডায় বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষ।
চা-বাগানে শীতের তীব্রতা বেশি হওয়ায় কাজে সমস্যা হচ্ছে চা-শ্রমিকদের। এদিকে ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের নিউমোনিয়া, জ্বর-সর্দি, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট বেড়েছে।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডা. প্রনয় কুমার দাস জানান, শীত বাড়ার সঙ্গে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শিশু ও মেডিসিন ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেশী। বহির্বিভাগেও প্রতিদিন ৮শ থেকে এক হাজার রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শীত শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র পর্যবেক্ষক আনিসুর রহমান জানান, সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা নিচে নামার কারণে চলতি সপ্তাহ থেকে জেলায় শীত পুরোপুরি শুরু হয়েছে।





