জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার কোনোভাবেই রোধ করা যাচ্ছে না। ধরে রাখা যাচ্ছে না প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী তাপমাত্রার সীমা। বরং গবেষণা বলছে, ধরিত্রীর তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
এসবের মধ্যেই এবারও উন্নত বিশ্বের নেতারা হাজির বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে। আর ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোও এসেছে তাদের দাবি নিয়ে। ভেন্যুর ভিতরেই চলছে প্রতিবাদ আর নীরব বিক্ষোভ। তারা বলছেন, যুদ্ধে গণহত্যা আর জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি একই বিষয়।। তাই যুদ্ধ, গণহত্যা এবং পরিবেশ ধ্বংস বন্ধের দাবি জানান তারা।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ব মোড়লরা প্যারিস চুক্তির ১০০ বিলিয়ন ডলার এখনও ছাড় করেনি। অথচ যুদ্ধের জন্য ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করছে তারা। তাই যুদ্ধ বন্ধ করে জলবায়ু মোকাবেলার দিকে নজর দেয়ার আহ্বান তাদের।
জলবায়ু বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘জলবায়ু মোকাবেলায় প্যারিস চুক্তির ১০০ বিলিয়ন ডলার দিতে তারা নানা টালবাহানা করছে। যুদ্ধের জন্য ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করতে তাদের সময় নিতে হচ্ছে না।’
জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উদ্বোধনী আয়োজনে কপ প্রেসিডেন্ট অভিযোজন, প্রশমনসহ ১০ টি বিষয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড তৈরির বিষয়ে কোন কিছু বলেননি। তাই ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো তার বক্তব্যে আশার আলো দেখতে পারছেন না। তবে ড. ইউনূসের অংশগ্রহণ বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক কিছু বয়ে আনতে পারে বলে মনে করেন তারা।
জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. মঞ্জুরুল হান্নান খান বলেন, ‘পুনরায় ট্রাম্প যখন ক্ষমতা গ্রহণ করবে তখন আসলে তার প্রশাসন জলবায়ু পরিবর্তনে অংশগ্রহণ করবে কি না বা পৃথিবী উন্নতি হবে নাকি অবনতি হবে সেই বিষয়ে মন্তব্য করা যাচ্ছে না।’
ইতোমধ্যেই বাকুতে পৌঁছেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার সম্মেলনে যোগ দিয়ে লিডারস সামিটে বক্তব্য দেয়ার কথা রয়েছে তার।