তিনি বলেন, 'এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক হিসেব পাওয়া গেছে। পূর্ণাঙ্গ ক্ষয়ক্ষতির চিত্র পেতে আরও একটু সময় লাগবে।'
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুজ্জামান জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ২৮২টি মৎস্য ঘেরের আয়তন ৩৭৮.৫০ হেক্টর। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ৩১০টি পুকুরের আয়তন ১৩৮.২৫ হেক্টর। এর মধ্যে শুধু চিংড়ি খাতে ক্ষতি হয়েছে ৩ কোটি ২২ লাখ ৭২ হাজার টাকার।'
এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা লিটন দেবনাথ জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে জেলায় ৫ হেক্টর জমির আউশ ধান, ৪ হেক্টর জমির আউশ বীজতলা, ৮০০ হেক্টর শাকসবজি এবং ৬০ হেক্টর পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটি প্রাথমিক তথ্য। ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেতে আরও ২-৩ দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।
এদিকে সকালের ঝড়ো হাওয়া ও প্রবল বৃষ্টিপাতের সময় সৈকতের অর্ধশতাধিক দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উড়ে গেছে এসব দোকানের চালা। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সর্বশেষ সকাল ১০ টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত কক্সবাজার উপকূলে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে তাণ্ডব চালায় ঘূর্ণিঝড় রিমাল। এসময় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে সাগর। জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ে বিভিন্ন লোকালয়ে, এমনকি শহরের বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সাগর উত্তাল ছিল। সেই সাথে দমকা বাতাস। এসময় পর্যটকদের সাগরে নামতে নিষেধ করা হয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, 'ঘূর্ণিঝড় রিমাল ঘিরে কক্সবাজারের ৬৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। তাদের অনেকেই বাড়ি ঘরে ফিরেছেন। বাকিরাও ফিরবেন দ্রুত।'