পরিবেশ ও জলবায়ু
চলতি বছর ১ লাখ ২০ হাজার গাছ লাগানোর ঘোষণা দিলেন মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, গত বছর ৮০ হাজার গাছ লাগানো হয়, এই বছর আরও ১ লাখ ২০ হাজার গাছ লাগানো হবে। আজ (রোববার, ২৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর গুলশান-২ নগর ভবনের সামনে রিকশা চালকদের মাঝে ছাতা বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জুলকার নায়েন, বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ ও ফিলিস্তিনের উপ-রাষ্ট্রদূত।

আতিকুল ইসলাম বলেন, 'ছাতাটা আমরা বিশেষভাবে তৈরি করেছি। এটা এডজাস্টেবল। কোনো রিকশা চালক লম্বা হলে ছাতার উচ্চতা বাড়িয়ে নিতে পারবেন। আবার  কেউ উচ্চতায় কম হলে ছাতার উচ্চতা কমিয়ে নিতে পারবেন। প্রত্যেককে হাফ লিটার পানির কন্টেইনার দিচ্ছি। এতে একটি স্যালাইন মিশিয়ে খেতে পারবে।’

এই কর্মসূচিও চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের পরামর্শে করা হয়েছে বলে জানান মেয়র আতিকুল।

এ সময় তিনি উত্তর সিটিতে গাছ লাগানো প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা গতবছর ৮০ হাজার গাছ লাগিয়েছি। এ বছর আরও ১ লাখ ২০ হাজার গাছ লাগাবো। কিছু কিছু জায়গায় কিছু গাছ মারা গিয়েছে। আসলে আমাদের আগে গাছের পরিচর্যার জন্য মালি ছিল না। ৪৭ জন মালি, ৩ জন সুপারভাইজার নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন। মালি নিয়োগ হয়ে গেলে পরিচর্যা জোরদার করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি নগরবাসীকেও অনুরোধ করছি গাছগুলো দেখে রাখার জন্য। সিটি কর্পোরেশন নিয়মিত পরিচর্যা করছে। পাশাপাশি নগরবাসী যার যার বাড়ির সামনে, দোকানের সামনে যে গাছগুলো আছে সেগুলোরও যত্ন নেবেন।'

মেয়র বলেন, 'স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে পানি ছিটানোর কাজটি চলমান থাকবে। পার্কগুলোতেও পানি স্প্রে করা হবে। যদিও পার্কে স্প্রে করার কাজটি বেশ ব্যয়বহুল। আমি আহ্বান করছি, কেউ চাইলে সহযোগিতা করতে পারেন। কেউ ছাতা দিতে চাইলে আমাদের সহযোগিতা করতে পারেন। অনেক কোম্পানি অথবা ব্যক্তি এগিয়ে আসতে পারেন।'

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রি. জে. মো. মঈন উদ্দিন ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জে. ইমরুল কায়েস চৌধুরী প্রমুখ।

ইএ