এ উপলক্ষে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়কমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার উপর নির্ভর করবে ১০০ দিনের কর্মসূচির বাস্তবায়ন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে সব কিছুকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, আগামীকাল শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজ শুরু করবে। এর মাধ্যমে কোন ইটভাটা পরিবেশের কতটুকু দূষণ করছে তা নির্ণয় করা হবে।
ড্রোনের মাধ্যমে কোন নদী কতটুকু দূষন হচ্ছে তা নির্ণয় করা হবে বলে জানান তিনি।
১০০ দিনের এ কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার পাবে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, দূষণ নিয়ন্ত্রণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং পরিবেশ, বন, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ। এর আওতায় বায়ু দূষণ হয় এমন প্রতিটি উৎস থেকে দূষণ রোধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অভিযান পরিচালনা করা হবে দেশব্যাপী ৫০০ অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে।
এছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পাইলটিং প্রকল্পের আওতায় পরিবেশদূষণ রোধে প্রতি বিভাগে দুটি করে Single Use Plastic (SUP) ফ্রি স্কুল ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন করা হবে। বিভাগগুলোতে দুটি করে জিরো ওয়েস্ট ভিলেজ চালুরও উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এই কর্মসূচিতে দখল হওয়া বনভূমি উদ্ধারের পাশাপাশি পাঠ্যবইয়ে সবুজায়নের পরিকল্পনা প্রণয়ণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। পরিবেশের ছাড়পত্র প্রদানের প্রক্রিয়া সহজ ও পরিবেশ দূষণ করলে ক্ষতিপূরণের বিধানও বাস্তবায়ন করবে পরিবেশ মন্ত্রণালয়।
