আজ (বুধবার, ১২ জুন) বনানীতে সংস্থাটির অফিসে অনুষ্ঠিত বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ওই সম্মেলনে এসব বিষয় উঠে আসে।
প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের আলোকে টেলিকম খাতের ওপর তার প্রভাব কেমন পড়বে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন অ্যামটবের নেতারা।
সংস্থাটির মহাসচিব মোহাম্মদ জুলফিকারের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বাজেট বিশ্লেষণ তুলে ধরেন রবির কোম্পানি সচিব ও চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার মোহাম্মাদ সাহেদুল আলম, বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান ও গ্রামীণফোনের হ্যান্স মার্টিন হেনরিক্সন।
অ্যামটবের মহাসচিব মোহাম্মদ জুলফিকার বলেন, ‘গ্রাহক বাড়ানোর দিকে মনোযোগী না হয়ে ভ্যাট, ট্যাক্স বৃদ্ধির দিকে অধিক মনোযোগ এ শিল্পকে কঠিন চ্যালেঞ্জের দিকে ছুড়ে দিয়েছে। এ খাতে সরকারকে সদয় দৃষ্টি দিতে হবে।’
অ্যামটব বলছে, দেশে এই মুহূর্তে প্রতি মাসে একজন গ্রাহক ৬.৫ জিবি ডেটা ব্যবহার করে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে এই হার ২২ শতাংশের মতো। অথচ দেশে সিমের ওপর কর বাড়িয়ে ভোক্তাদের সংযোগ ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। তাই আগামীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে ইন্টারনেট সেবায় সারচার্জ ও সম্পূরক চার্জ উঠিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
রবির চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার মো. সাহেদুল আলম বলেন, ‘খরচ বেড়ে যাওয়ায় আগামী প্রান্তিকে মানুষের রিচার্জের পরিমাণ আরও কমতে পারে। এতে টেলিকম কোম্পানিগুলোর লাভের পরিমাণ আরও কমবে।’