রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসুদ ও রাকসুর সাধারণ সম্পাদক-জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের মধ্যে বাকবিতণ্ডা। রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে ক্যাম্পাস জুড়ে শুরু হয় আলোচনা।
ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের সভাপতিকে অপসারণ করে নতুন সভাপতি নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইল ইস্যু করা নিয়ে জিএস সালাহউদ্দিন ও রেজিস্ট্রারের মধ্যে এ উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
রাকসুর জিএস ও সিনেট সদস্য সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, এনসিপি হোক, বিএনপি হোক, জামায়াত হোক রেজিস্ট্রারের কাছে রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা শিডিউল নিবে কেন? কোন উদ্দেশ্যে? এবং রেজিস্ট্রারের সঙ্গে রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর কাজ কী?
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে জড়িয়ে, আমার সঙ্গে লিংক করে এবং গত এক মাস ধরে সংঘবদ্ধ অপপ্রচারের চেষ্টা চালাচ্ছে একটা গ্রুপ। অধিকাংশ বট আইডি, অধিকাংশ তাদের যতটুকু চেনা যায় একটা বিশেষ গ্রুপের তারা রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে কথা বলে যাচ্ছে।’
শিক্ষক হিসেবে যে দায়িত্ব আছে সেগুলো ঠিক মতো পালন করলে শিক্ষার্থীদের আস্থা বেশি তৈরি হয়।
রাবির প্রক্টর ও রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষকদের মধ্যে শিক্ষকের মত আচরণ থাকা দরকার। শিক্ষকদের যে বুদ্ধি-বিবেচনা প্রজ্ঞা নিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে যাওয়া দরকার আমি মনে করি সে জায়গা থেকে নিশ্চয়ই ঘাটতি আছে। শিক্ষার্থীদেরও বুঝতে হবে তাদের কী করণীয় আছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, জাতীয়ভাবে মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মইন উদ্দিন বলেন, সামগ্রিক অবক্ষয়ের কারণে আমরা এ ধরনের পরিবর্তন একটু দেখতে পাচ্ছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রশাসনের অংশ হিসেবে যেটা আমাদের প্রত্যাশা থাকবে এ অবস্থার উত্তরণ দরকার। সেই সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক আবার যে লেভেলে থাকা দরকার মধুর সম্পর্ক সেটা আবার ফিরিয়ে আনা দরকার।





