আজ (রোববার, ৫ অক্টোবর) সকাল থেকেই আবাসিক হল, টুকিটাকি চত্বর, পরিবহন মার্কেট ও বিভিন্ন একাডেমিক ভবনসংলগ্ন এলাকায় প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দিচ্ছেন পরিচয়পত্র, ব্যালট নম্বর ও নির্বাচনি অঙ্গীকার সংবলিত লিফলেট। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দোয়া ও সমর্থনও কামনা করছেন তারা।
প্রার্থীরা জানান, দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচনকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে, এটি আনন্দের। শিক্ষার্থীদের দাবি ও অধিকার বাস্তবায়নে কাজ করতেই তারা প্রার্থী হয়েছেন। একই সঙ্গে প্রার্থীরা রাকসু নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা রেখে অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
রাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রক্টরিয়াল টিম কাজ করছে বলেও জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর মাহবুবুর রহমান।
আরও পড়ুন:
এর আগে, ২০ সেপ্টেম্বর পোষ্য কোটা ইস্যুতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি ও বিভিন্ন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ক্যাম্পাস শাটডাউন ঘোষণা করেন। ফলে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।
এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ভোট পেছানোর দাবি জানান। পরে ২২ সেপ্টেম্বর রাকসু নির্বাচন কমিশনের জরুরি সভায় ২৫ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত ভোটগ্রহণ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পরে ১৬ অক্টোবর রাকসু নির্বাচনের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়। পাশাপাশি প্রচারণার সময়সীমাও বাড়িয়ে ৫ থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। এসময় প্রার্থীরা আচরণবিধি মেনে প্রচারণা চালাতে পারবেন।





