রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে চলে দিনভর পোষ্য কোটা বাতিলের আন্দোলন। পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণার জেড়ে সকাল ১০টায় প্রশাসন ভবনের গেটে তালা ঝোলান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এতে অবরুদ্ধ হন রাবি উপ-উপাচার্য সহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
দিনভর চলা আন্দোলন তীব্রতর হয়ে ওঠে সন্ধ্যা ৭ টায়। এ সময় মুখোমুখি অবস্থান নেন রাবি প্রশাসন ও আন্দোলনরতরা। দু'পক্ষের মধ্যে চলতে থাকে বাকবিতণ্ডা। এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। স্লোগান ও বক্তব্যের মাধ্যমে জানান তাদের অনড় অবস্থানের কথা।
ঠিক এর পরপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন রাবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার। ঘোষণা দেন পোষ্য কোটা পুরোপুরি বাতিলের আগ পর্যন্ত আন্দোলন চলমান রাখার। আন্দোলনের এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের দুজন প্রতিনিধির সাথে আলোচনায় বসেন রাবি প্রশাসন।
পরে সেখানে এসে যোগ দেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব। প্রায় আধাঘণ্টার আলোচনা শেষে পোষ্য কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন প্রশাসন। তবে আনুষ্ঠানিক গেজেটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত কার্যকরের ক্ষেত্রে কিছুটা সময় চাওয়া হয়েছে বলে জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সেই সাথে গেলো দেড় মাসের বেশি সময় ধরে চলা এ আন্দোলনের সফলতায় উচ্ছ্বসিত আন্দোলনরতরা।
এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে শুধু ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ নয় বরং আজীবনের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় বাতিল করা হলো পোষ্য কোটা।