জানা গেছে, শতভাগ অকৃতকার্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নেত্রকোণা সদর উপজেলার ছোট গারা এলাকার ভাষা সৈনিক আবুল হোসেন কলেজ থেকে এবছর মানবিক বিভাগের দুজন অংশ নিয়ে দুজনই ফেল করেছেন।
পুর্বধলা উপজেলার জোবায়দা জহুরউদ্দিন সরকার মহিলা কলেজ থেকে মানবিক বিভাগ থেকে অংশগ্রহণকারী তিনজনের মধ্যে তিনজনই ফেল করেছেন।
আর কেন্দুয়া উপজেলার জনতা আদর্শ মহাবিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগের নয়জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে নয়জনই অকৃতকার্য। একই উপজেলার গোপালপুর মডেল কলেজের ১২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১২ জনই ফেল।
এছাড়াও কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা আব্দুল হামিদ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে মাত্র একজন পরীক্ষার্থী থাকলেও অনুপস্থিত থাকায় শুন্য রেজাল্টে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
চলতি বছর জেলায় ৪৮ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৩ হাজার নয় শ’ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তার মধ্যে পাস করেছে ছয় হাজার ৫৮৭ জন। পাস করাদের মধ্যে ছাত্র দুই হাজার ৬৪৮ জন ও মেয়ে তিন হাজার ৯৩৯ জন।
আরও পড়ুন:
এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চারটিতে শতভাগ ফেল এসেছে।
জেলায় সবচেয়ে ভালো রেজাল্ট হয়েছে নেত্রকোণা সরকারি কলেজে। রেজাল্ট পর্যালোচনায় জানা গেছে , নেত্রকোণা সরকারি কলেজের এক হাজার ৩৯২ জনের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১০৯ জন। পাস করেছেন এক হাজার ১৩ জন।
নেত্রকোণা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এক হাজার ২৩৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন মাত্র পাঁচ জন। পাস করেছেন ৬৫২ জন। আর আবু আব্বাস কলেজে এক হাজার ২৯৫ জনের মধ্যে জিপিএ হয়েছেন মাত্র একজন। ফেলই করেছে ৯৪২ জন।
এদিকে জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচয়দানকারী দুর্গাপুর উপজেলার আলহাজ্ব মফিজ উদ্দিন তালুকদার কলেজের কেন্দ্র এবছর পরিবর্তন করতেই ভরাডুবির ঘটনা ঘটলো। ১০৭ জন অংশগ্রহণ কারীর মধ্যে মাত্র তিনজন পাস করেছে। বাকি ১০৪ জনই ফেল।
এদিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, শতভাগ অকৃতকার্য চার প্রতিষ্ঠানের বিষয়ের খোঁজখবর নেয়া হবে এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।





