চলতি বছর ১৭ জানুয়ারি একযোগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেশের সব কলেজের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৮, ১৯, ২০ ও ২১ তারিখে হয় মৌখিক পরীক্ষা।
এর প্রায় ৬ মাস পর গেলো ৪ জুন প্রকাশ হয় পরীক্ষার ফলাফল। এতে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগ থেকে পরীক্ষা দেয়া ৯০ শিক্ষার্থী জানতে পারেন তারা সবাই অকৃতকার্য করেছেন।
ফল প্রকাশের পর থেকেই হতাশা আর ক্ষোভে ভেঙে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, বিভাগীয় প্রধান ও দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অবহেলা-উদাসীনতাই ফল বিপর্যয়ের প্রধান কারণ। শিক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে অসচেতনতার কারণে তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তাদের।
কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমাদের কলেজের মতো একটা প্রতিষ্ঠানে আমাদের শিক্ষকরা যে ধরনের গাফিলতি করেছে, আমি এ জন্য হতাশ হয়েছি।’
আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘এটা তো শিক্ষার্থীদের জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, তাদের একটা বছর নষ্ট হলো।’
এ ঘটনাকে শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যর্থতা বলে উল্লেখ করেছেন সচেতন মহল।
কুষ্টিয়ার সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি রফিকুল আলম টুকু বলেন, ‘এত বড় একটা সরকারি কলেজ, সেখানে রসায়ন একটা বড় বিভাগ। এ বিভাগের শিক্ষক এবং বিভাগীয় প্রধানের একটা ভুলের কারণে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। আমি চাই যেন এই বিষয়টির সমাধান হয় এবং স্বাভাবিকভাবে শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট চলে আসে।’
কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, সার্ভার জটিলতা এবং প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল কলেজ কর্তৃপক্ষ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে না পাঠানোয় এমনটা ঘটেছে।
সরকারি কলেজ কুষ্টিয়ার রসায়ন বিভাগের প্রধান রোকনুজ্জামান বলেন, ‘ভর্তি কমিটিতে থাকার কারণে আমি ব্যস্ত ছিলাম। এদিকে জুনিয়র যে সহকর্মীর দায়িত্ব ছিল সে অনলাইনে সাবমিট করেছে কিন্তু সাবমিট হয়নি। এর কারণেই বিপর্যয়টি ঘটেছে। আমরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।’
সচেতন মহল বলছে, কর্তৃপক্ষ কত দ্রুত এই সংকট সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেয় সেটিই এখন দেখার বিষয়।