গেলো ১০ এপ্রিল সারা দেশের শুরু হয় এসএসসিও সমমানের পরীক্ষা। এর মধ্যে ১৫ এপ্রিল যশোর বোর্ডের ইংরেজি প্রথমপত্রের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নে এক-এর ‘এ’-তে চারটি উত্তরই ছিল সঠিক। এফ নম্বরে একই প্রশ্নে দেয়া হয় দুটি উত্তর। আর ছয় নম্বর টেবিলে সঠিক উত্তর ডিফেন্ডের জায়গায় উল্লেখ ছিল ডিফেন্ডস।
প্রথম পত্রের মতো ১৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়া ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রেও ছিল নানা ভুল প্রশ্ন। এতে পরীক্ষার হলে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা। ভুলে ভরা প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়ায় ফল নিয়েও চিন্তিত তারা।
এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র দুইটাতেই ভুল রয়েছে। এ ছাড়াও গণিতের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নেও অনেকগুলো ভুল আমরা খুঁজে পেয়েছি। প্রশ্নের উত্তর করতে গিয়ে অনেকটা বিভ্রান্তকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে। এর জন্য সময়টা অনেক বেশি লেগেছে। এজন্য অনেক পারা জিনিসও রেখে আসতে হয়েছে।’
আরো পড়ুন:
সিলেবাসের বাইরের ও ভুল প্রশ্নের কথা জানান অভিভাবক ও শিক্ষকরাও। আর দক্ষ শিক্ষক দিয়ে প্রশ্নপত্র প্রণয়নের আহ্বান জানান শিক্ষাবিদরা।
যশোর প্রগতি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাসুদুর রহমান বলেন, ‘ভুল থাকলে ছাত্রছাত্রীদের পরের পরীক্ষাগুলোর জন্য যে প্রেসার পরে তাতে পরীক্ষা খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমি আশা করি যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ এদিকে নজর দিয়ে এগুলো সুরাহা করবে।’
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের আবেদন থাকবে, যাদের দ্বারা এই ভুল হয়েছে তাদের ওই কাজ থেকে বিরত রাখা। যারা যোগ্য, নির্ভুলভাবে কাজ করে, তাদের এই কাজে নিয়োগ দেয়া।’
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন প্রণয়নকারী শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগে কথা জানান বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। পাশাপাশি ভুল প্রশ্নের জন্য শিক্ষার্থীদের পূর্ণ নম্বর দেয়ার আশ্বাসও দেন তিনি।
আরো পড়ুন:
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. আব্দুল মতিন বলেন, ‘হেড পরীক্ষকদের কাছে আমি অবশ্যই অবহিত করবো। উনারা পর্যবেক্ষণ করবেন। যদি কোনো জায়গায় অসঙ্গতি থাকে, কোনো বিষয়ে যদি ছাত্রছাত্রীরা বঞ্চিত হয় বা আমরা যদি দেখি যে এটা সত্যিই ভুল; তখন অবশ্যই ছাত্রছাত্রীর বিষয়টি সহানুভূতির সাথে দেখবো।’
যশোর বোর্ড থেকে এবারের এসএসসিতে এক লাখ ৪১ হাজার ৬৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয়পত্রে অংশ নেয় এক লাখ ৩৩ হাজার ৪৬২ জন।