এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের আরও কিছু নির্দেশেনা মেনেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস কার্যক্রম পরিচালনা করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। এদিকে অনেক দিন পর স্কুলে আসতে পেরে খুশি শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষকের পাঠদানের ফাঁকে ফাঁকে বন্ধুদের সাথে কুশল বিনিময় করেন শিক্ষার্থীরা। টানা তাপপ্রবাহের পর স্কুল শুরুর প্রথম দিন গরমের ভোগান্তি ছাড়াই বগুড়ায় বেশ স্বস্তিদায়ক আবহাওয়ায় শিক্ষার্থীরা মনোযোগী ছিলেন। তবে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে উপস্থিতি কিছুটা কম ছিল। আর তাপ্রপবাহের ঝুঁকি এড়াতে শিক্ষার্থীদের বেশকিছু করণীয় ঠিক করে দিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
রাজশাহীর বিভিন্ন বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, সরকারি নির্দেশনা মেনেই পাঠদান চলেছে। অ্যাসেম্বলিও হয়নি, দুই দফা মিলিয়ে দীর্ঘ ছুটি শেষে ক্লাসে ফিরে খুশি শিক্ষার্থীরা।
এদিকে ক্লাসের সময় কমিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। সন্তানের সুস্বাস্থ্য বিবেচনায় পানির বোতল, স্যালাইন, রুমালসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু সঙ্গে দিচ্ছেন। তারা বলছেন, দীর্ঘদিন বাড়িতে থেকে বাচ্চাদের লেখাপড়ায় সমস্যা হয়েছে। আশা করা যায়, স্কুল খুলে দেয়ায় সেই সমস্যা দূর হবে।
চলতি মৌসুমে তাপমাত্রায় বেশিরভাগ সময় শীর্ষে থাকা চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে সরকারি নির্দেশনা মেনে পাঠদান শুরু হয়েছে।প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা ও মাধ্যমিকে প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা আর দ্বিতীয় শিফটে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ক্লাস চলে। এদিকে অনেকদিন পর স্কুলে আসতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে গত ২৮ এপ্রিল থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়। এর অগে দু'দফায় দুই সপ্তাহ বন্ধ রাখা হয় দেশের সব প্রাথমিক ও অনেক জেলার মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসা।